ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

পদ্মা সেতুর সুফল বইছে দক্ষিণাঞ্চলে

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হয়েছে। গতকাল থেকে পুরোদমে খুলেছে অফিস-আদালত। তবুও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষে জীবিকার তাগিদে এখনো ঢাকায় ফিরছে মানুষ। গতকাল ঈদুল আজহার চতুর্থ দিন ভোর থেকে বরিশালের নথুল্লাবাদ, রূপাতলী বাসটার্মিনালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসস্টেশনগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগই ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছেন। নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ যাত্রী আতাউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর সুফলের কারণে এখন সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাই সকাল ৬টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঢাকায় গিয়ে তিনি সকালের নাস্তা খেয়ে অফিসে যাওয়া সম্ভব হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর সুফল বইছে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক পথে। এক সেতুর কারণে গত এক বছরে ১০ গুণ পরিবহন কোম্পানি যুক্ত হয়েছে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলায়। ফলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ধরে বিভাগের পাঁচ জেলার মানুষ কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনের সঙ্গে এবারের ঈদ আনন্দ করতে স্বল্প সময়ে বাড়ি ফিরেছেন। তেমনি করে ঈদের ছুটি শেষে পুনরায় আবার তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা-বরিশাল সড়ক পথে দেড়শ’র মতো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করত। আর এখন প্রায় সহস্রাধিক বাস চলাচল করছে। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কোম্পানির বিলাসবহুল বাসও রয়েছে। যদিও বড় বড় কোম্পানিগুলো বাদে কিছু পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে স্বল্প সময়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে খুশি এসব যাত্রীরা। এদিকে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভাটা পরেছে নৌ-পথে। আগের মতো যাত্রী না হওয়ায় ঈদ স্পেশাল সার্ভিস বন্ধ রাখার পাশাপাশি বহরে কমানো হয়েছে লঞ্চের সংখ্যাও। পদ্মা সেতুর কারণে কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই নৌরুটের সাত থেকে আট ঘণ্টার পথ মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় পাড়ি দেয়া যাচ্ছে। তবে সরু সড়কের কারণে বরিশাল থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি থাকে।

যদিও মহাসড়কে চাঁপ কমাতে সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক বিভাগ, এরই মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ হয়েছে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান বলেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ের মতো আরেক এক্সপ্রেস ওয়ে হবে। যা পরিবহন সেক্টরের বর্তমান সব সমস্যা নিরসন করবে।