চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় সরকারি খাস জায়গায় রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জলদী মিয়ার বাজার আনোয়ারা বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের পাশে চৌধুরী মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে পৌর অনুমতিবিহীন এসব দোকান নির্মাণ করেছেন হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লি দাবিকারী শেখ মুঈনদ্দিন চৌধুরী। এলাকাবাসী ও মার্কেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলদী মিয়ার বাজার চৌধুরী নিউ মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানের ভূমি জোরপূর্বক দখল করে রাতের অন্ধকারে দোকানঘর নির্মাণ করেন। এতে করে মার্কেটের এবং বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তারা বলেন, মিয়ার বাজারের ঐতিহ্যবাহী হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে লুটপাট করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার একক গায়ের জোরে যা মন চায় তা করে বর্তমানে মসজিদটির কোনো সংস্কার না করে মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে লুটেপুটে খাচ্ছেন। এই মার্কেটের সামনে থাকা খাস জায়গা দখল করে তিনি প্রতিবারই দোকান নির্মাণ করে চলেছেন। মার্কেটের সামনে খাস খতিয়ানভুক্ত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় রাতের আঁধারে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে জোরপূর্বক বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছেন তিনি।
গত রোববার সকালে জলদী মিয়ার বাজার এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ওই খাস জায়গায় বেশ কয়েকটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রোজিয়া সোলতানা রোজি ও একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক বলেন, জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা। খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় কোনো ধরনের পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতিবিহীন রাতের অন্ধকারে মার্কেট নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পৌর এলাকায় কোনো স্থাপনা করতে গেলে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। ওই জায়গার ওপর আমাদের জানা মতে হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে। মামলা চলাকালীন সময়ে তিনি রাতের অন্ধকারে মার্কেট নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে পৌর মেয়র এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতাওয়াল্লি দাবিকারী অভিযুক্ত শেখ মুঈনুদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তার অপর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ১ নং যুগ্ম মোতাওয়াল্লি বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাবিব উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ১ নং মোতাওয়াল্লি আমি। অথচ তিনি ওই ওয়াকফ এস্টেটের অনুমতি না নিয়ে গায়ের জোরে কিছু সন্ত্রাসীর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে মার্কেটের সামনে থাকা পার্কিংয়ের জায়গায় বেশ কয়েকটি দোকান নির্মাণকাজ করছেন।
