ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যবসায়ী বনমালী হত্যা

সন্দেহের তির পুরোনো কর্মস্থলের দিকে

সন্দেহের তির পুরোনো কর্মস্থলের দিকে

কয়রা উপজেলার ৬ নং কয়রা গ্রামের যতীন্দ্রনাথ মণ্ডলের পুত্র ব্যবসায়ী বনমালী মণ্ডল গত ২৫ জুন খুলনার কদমতলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে খুলনা রেলওয়ে ইয়ার্ডে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। নিহতের স্ত্রী সীমান্ত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী ৮ বছর আগে খুলনার কদমতলা এলাকার লঞ্চ টার্মিনালের পূর্ব দিকে মেসার্স ঘোষ ট্রেডার্সে চাকরি নেন। এক বছর আগে চাকরি ছেড়ে নিজে কদমতলা এলাকায় পদ্মা বাণিজ্য ভান্ডার নামে একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে কাঁচামালের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা শুরুর কয়েক মাস পর থেকে ঘোষ ট্রেডার্সের মালিকের রোষানলের শিকার হন তার স্বামী। বনমালী মণ্ডলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিন দিন ভিড় জমাতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ঘোষ ট্রেডার্সের ব্যবসায় কিছুটা মন্দা দেখা দেওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে বনমালীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন বলে তার স্ত্রী সীমান্ত মণ্ডল জানান। তিনি আরও বলেন, ২৫ জুন তার নিখোঁজের পর ওই রাতে স্বামীর পাঠানো শুধু একটি মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারি মুখে কাপড় বেঁধে তার স্বামীকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। স্বামীর সন্ধান পেতে এক পর্যায়ে পুরোনো কর্মস্থল ঘোষ ট্রেডার্সের মালিক অমিত ঘোষ ও সনজিত ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অমিত ঘোষের স্ত্রী মোবাইল ফোনে ধমক দিয়ে বলেন, এখন কেন চেঁচামেচি করছ, তোমার স্বামী আমাদের সঙ্গে অনেক বেঈমানি করেছে।

এ সময় বনমালী মণ্ডলের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার স্বামী আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে নিজে ব্যবসা করছে, এটা কি বেঈমানি করা হলো? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘোষ ট্রেডার্সের মালিক অমিত ঘোষ ও সনজিত ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৭ বছরের বেশি সময় বনমালী আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত