খানাখন্দে ভরা ফরিদপুরের তালমা-জয়বাংলা সড়ক

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের নগরকান্দায় তালমা-জয়বাংলা আঞ্চলিক সড়কের দুই কিলোমিটার অংশের অবস্থা বেহাল। অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। চলাচল করা দায়। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ওই দুই কিলোমিটার অংশ পড়েছে নগরকান্দা পৌরসভার মধ্যে। পৌরসভার মধ্যের ওই দুই কিলোমিটার বাদে তালমার মোড় থেকে মোল্লার মোড় পর্যন্ত সড়কটির ১২ কিলোমিটার অংশ এবং নগরকান্দা পৌরসভার ঈশ্বরদী সেতু থেকে জয়বাংলা পর্যন্ত বাকি পাঁচ কিলোমিটার অংশ মাঝেমধ্যে সংস্কার করায় মোটামুটি চলাচল উপযোগী। এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানায়, সড়কটির ১৯ কিলোমিটারের মধ্যে পৌরসভার বাজার মসজিদ থেকে ঈশ্বরদী সেতু পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ এলাকাবাসী ও পথচারীদের কাছে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, জিপ, অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ভ্যানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে। এর মধ্যে শিক্ষক জাহিদ হোসেনের বাসার সামনে, নগরকান্দা কলেজের সামনে ও নগরকান্দা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনের অংশ সবচেয়ে বেশি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। এসব জায়গা দিয়ে যানচলাচল করছে হেলেদুলে। বৃষ্টিতে এসব জায়গার অবস্থা আরো বেহাল হয়ে যায়। যানবাহন তো দূরে থাক হেঁটে চলাও বেশ দুষ্কর। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম শেখ বলেন, এটি অত্র অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ফরিদপুর থেকে খুলনা বাগেরহাট গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাঙা গোলচত্বর হয়ে ফরিদপুর বা রাজবাড়ীর দিকে গেলে অন্তত ১২ কিলোমিটার পথ বেশি লাগে। সেক্ষেত্রে তালমা হয়ে এ সড়ক দিয়ে জয়বাংলার মোড় হয়ে গেলে সময় ও পথ দুটোই কমে। কিন্তু বর্তমানে সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। নগরকান্দার বাউতিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক রুস্তম শেখ বলেন, এই রাস্তাটুকু প্রায় তিন বছর ধরে এই অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো বালাই নেই। এ সড়কে ভ্যান চালাতে খুবই কষ্ট হয়। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছি আমরা। ট্রাকচালক আকবর হোসেন বলেন, ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ যেতে ভাঙার উপর দিয়ে গেলে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে গেলে অনেক পথ কম। এ অবস্থায় এ সড়ক দিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়। ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের হিসাববিজ্ঞানের মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থী লক্ষণ মণ্ডল বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা কাদামাটিতে ভরে যায়। তখন অনেক সময় কাদায় গাড়ির চাকা আটকে যায়। এমন অবস্থা প্রায় তিন বছর ধরে। এ সড়কে চলতে গিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।