ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মরিচের দামে বিভ্রান্ত ক্রেতারা

মরিচের দামে বিভ্রান্ত ক্রেতারা

মরিচের দাম নিয়ে রীতিমতো গুজব ছড়িয়ে পড়েছে নীলফামারীর হাটবাজার এবং সোশাল মিডিয়ার ফেসবুকে। কেউ বলছেন ৭০০ আবার কেউ বলছে ৪০০ টাকা মরিচের কেজি। ফেসবুকের পোস্টে এসব প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে একাকার। বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির মধ্যে মরিচের দাম হু-হু করে বৃদ্ধি পায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর শাকামাছা হাটের কিচেন মার্কেটে সরজমিনে কথা হয় ভাই ভাই আড়তের মালিক রানা ইসলাম, মায়ের দোয়া আড়তের আজিজুল ইসলাম সিয়াম, ও নিজাম ভান্ডারের শাহিন ইসলামের সঙ্গে, তারা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম থেকে শুরু করে সব সবজির দাম ওঠানামা করে, বর্তমানে পাইকারি মরিচের কেজি ১৬০ টাকা, পটোলের কেজি ১৮ টাকা, শসার কেজি ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, ঢ্যাঁরশ ১২ টাকা, লাউ ২০ টাকা, কাঁচকলা ১৮ টাকা হালি, চালকুমড়া ২০ টাকা। নীলফামারী জেলার ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর, ডোমার, কিশোরগঞ্জ উপজেলার হাটবাজারগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজমান। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার গ্রীষ্মকালীন মরিচের টার্গেট ছিল ৫৭০ হেক্টর জমিতে; কিন্তু আবাদ হয়েছে ৫৭৪ হেক্টরে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। মরিচ উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ১১৭ মেট্রিক টন।

এ বিষয়ে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইয়াহিয়া আবিদ বলেন, বর্ষাকালে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে মরিচ বাগান তলিয়ে যায়, মরিচ তোলা সম্ভব হয় না, তাই দাম হেরফের হয়। আবার জমি থেকে বৃষ্টির পানি সরে গেলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কয়েকদিন দেড় থেকে ২০০ টাকা ছিল। ভারতীয় মরিচ বাজারে আসার কারণে স্থিতিশীল হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত