ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুরের জমিদার পরিবার এখন অসহায়

মাধবপুরের জমিদার পরিবার এখন অসহায়

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা গ্রামের প্রখ্যাত জমিদার স্বরোজ বিকাশ চৌধুরীর বাড়িটি এখন বেহাত হওয়ার পথে। সবকিছু হারিয়ে ওই জমিদার পরিবার শেষ সম্বলটুকু ভিটেমাটি হারাতে বসেছে। বাড়িতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কথিত চুরির মামলায় জমিদার পুত্রবধূ ঊষা রানি চৌধুরী বৃদ্ধ বয়সে জেলের ঘানি পর্যন্ত টানতে হয়েছে। এখন বাড়ির সবকিছু হারিয়ে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন। তাই অভাব অনটনের মধ্যে এই জমিদার পরিবারের সদস্যরা নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। জমিদারপুত্র সুভাষ চৌধুরী জানান, তাদের অনেক জমিজমা ছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শত শত বিঘা জমি জবরদখল হয়ে গেছে। শেষ সম্বলটুকু ছিল বাবার স্মৃতি ভিটেবাড়ি। এরপরও এখন প্রভাবশালীদের দৃষ্টি পড়েছে। বাড়ির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তার প্রয়াত জমিদার স্বরোজ বিকাশ চৌধুরী নিজ উদ্যোগে মহানাম যজ্ঞ উৎসবের আয়োজন করেছিল। যুগ যুগান্তর পেরিয়ে এ উৎসব এখন ৫৪ বছরে চলছে। প্রতি বছর মাঘি পূর্ণিমায় সুরমা উৎসবে হাজার হাজার পুণার্থিদের আগমন ঘটে। এই উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব ছিল জমিদার পরিবারের লোকজনের। কিন্তু গত বছরতিনেক আগে একটি চক্র জমিদার পরিবারকে বাদ দিয়ে তাদের ভিটেমাটি ও জমিজমা জবর দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে পরিবারকে হয়রানি করছে। বছরখানেক আগে জমিদার পুত্রবধƒ ঊষা রানি চৌধুরী বাড়িতে গিয়ে বসবাস করলে কথিত একটি মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে তাকে হাজত খাটতে হয়েছে। জমিদার পুত্রবধূ ঊষা রানী চৌধুরী বলেন, জমিদারের শেষ সম্বলটুকু দখল করার জন্য উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকজন নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

যাদের আমরা দয়াপরবশ হয়ে জায়গা দিয়েছিলাম তারা এখন জমিদার বাড়ি গ্রাস করতে চাইছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল কাটিয়েছে। জমিদারের সব সম্পদ হারিয়ে শেষ সম্বলটুকু এখন আমরা হারাতে বসেছি। বাড়িতে যেতে চাইলে আমাদের ওপর মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এখন আমরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরে কোনো রকমে মাথা গুঁজে রয়েছি। অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত