ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত

কী ভাবছেন পদপ্রত্যাশীরা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত

ছয় বছর ১ মাস ২৭ দিন পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ সম্পর্কে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমি চাই নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো দক্ষ ও স্মার্ট নেতৃত্ব আসুক। দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে পারে এমন দেশপ্রেমিক মুজিবীয় আদর্শের খাঁটি ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বে আসুক। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে প্রস্তত। তবে ছাত্রলীগের মুখোশধারী দেশপ্রেমিকহীন জামায়াত শিবির যেন কেউ দায়িত্বে না আসে এমনটাই চাওয়া। সদ্য সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহীন হোসাইন সাজ্জাদ (আকন্দ) বলেন, পারিবারিক সূত্রেই আওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা। স্কুলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে চাচা ও বন্ধুদের সঙ্গে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। কলেজেও ছাত্রলীগের সক্রিয় কমিটি না থাকলেও ছাত্রলীগে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই প্রথমদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রনি-রানা কমিটির মাধ্যমে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছি। বাবু-রাকিব কমিটির দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোর প্রচারে সর্বদা সরব ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় দূর থেকে আগত শিক্ষার্থীদের থাকার সুব্যবস্থা করাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় কাজ করেছি? শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, বিশুদ্ধ পানি বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি, শিক্ষার্থীদের সব ধরনের যৌক্তিক দাবি দাওয়া আন্দোলনে ও প্রথম সারিতে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের বাস, আবাসন, সেশনজটসহ সব দাবি দাওয়ার পক্ষে কাজ করেছি। রাজাকারদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। দলীয় ও জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে সব সময় অংশগ্রহণ করেছি। কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক আয়োজিত ও নির্দেশিত সব প্রোগ্রামে সরব অংশগ্রহণ করেছি। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমার বিগত রাজনৈতিক জীবন বিবেচনায় আমাকে আগামীর নেতৃত্বে নির্বাচিত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংগঠনের সবাইকে পাশে নিয়ে মাঠে কাজ করার সুযোগ প্রদান করবে। স্মার্ট ও দক্ষ নেতৃত্ব আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ (অভি সাব্বির) বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাইয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে ছাত্রলীগ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর নতুন নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি প্রতিটি সময় ছাত্রলীগের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলাম। মাঠে-ময়দানে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্রলীগের ভাইবোনদের নিয়ে উপস্থিত ছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। কেন্দ্রীয় কমিটির যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত