তারা মিয়া ‘পাখি ভাই’

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জামালপুর প্রতিনিধি

শখের বসে পাখি পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জামালপুরের নোমান রেজা সুলতানি ওরফে তারা মিয়া (৩৫)। তার খামারে এখন ৫০-৬০ প্রজাতির সাত হাজারেরও বেশি পাখি ও কবুতর রয়েছে। প্রকারভেদ একেকটা পাখি ৫০০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। এতে মাসে আয় করছেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ‘পাখি ভাই’ হিসেবে। সদর উপজেলার দিগপাইত উপশহরের তিতপল্লা ইউনিয়নের সুলতান নগর গ্রামে কাঁচাপাকা রাস্তায় ঢুকে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবেন পাখি ভাইয়ের বাড়ি। তিনি ওই এলাকার মৃত আবু রায়হান সুলতানির ছেলে। একসময় ইরাকে থাকতেন তারা মিয়া। ইরাকের কুর্দিস্তানে অবস্থান করা অবস্থায় শখের বসে স্ত্রী সালমা বেগম ঘরের বারান্দায় তিনজোড়া কবুতর ও একজোড়া পাখি পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতে থাকায় স্বামীকে দেশে চলে আসতে বলেন। পরে ৭-৮ বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে স্ত্রী সালমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন শুরু করেন তারা মিয়া। ২০-৩০ হাজার টাকা মূলধন খাটিয়ে যুক্ত করেন আরো কিছু পাখি। সেই থেকে শুরু। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। এখন প্রায় ৪০ শতক জমির উপরে পাঁচটি শেডে পাখি ও কবুতর পালন করছেন এ দম্পতি। খামারে ৫০ থেকে ৬০ প্রজাতির সাত হাজারেরও বেশি পাখি ও কবুতর রয়েছে। এর মধ্যে লুটিনো, কগাটেল, এক্সিবেশন বাজরিগার, জাপানিজ বাজরিগার, লুটিনো বাজরিগার, ক্লাসিক্যাল বাজরিগার, লাভ বার্ড, কাকাতুয়া, ময়না, জাইন কোনোর, জাবা, ডায়মন্ড ঘুঘুসহ পাখি উল্লেখযোগ্য। প্রকারভেদে প্রতিজোড়া পাখি বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। কবুতরের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক বোম্বাই, কালো মুক্ষি, হোয়াইট বোম্বাই, জাহিন হোমার, বিউটি হোমার, গিয়া আউল, সাদা আউল, ড্যানিশ কিং, লাহোরি, সিলভার সিরাজী, লক্ষা ইত্যাদি। জাতভেদে প্রতিজোড়া কবুতর ১ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন তারা মিয়া। বেশিরভাগ পাখি বিক্রি হচ্ছে অনলাইনেই। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা আসেন তার বাড়িতে।