ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের বাজার স্থিতিশীল

নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের বাজার স্থিতিশীল

শষ্য ভাণ্ডারখ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁ। কিছু দিন আগে ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারে ধানের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সব ধরনের ধানের দাম। তবে ধানের দাম কমলেও চালের বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। ধানের ভরা মৌসুমেও গত এক মাস থেকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বোরো মৌসুমে যে পরিমাণ চালের দাম কমার কথা তা কমছে না বলে মনে করছেন ভোক্তারা। তারা মনে করছেন- বোরো ভরা মৌসুমেও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। ধানের দাম তুলনামূলক কম হলেও চালের বাজার বেশি। দাম করলে ভোক্তাদের জন্য সুবিধা হয়। খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন- গত ১ মাস থেকে বাজারে সব ধরনের চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য হওয়ায় ব্যবসায় মন্দা চলছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়াই ক্রেতারা চাল কিনছেন না। বোরো ধান অনেকের ঘরে থাকায় তারা বাজারে আসছে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমলে সুবিধা হবে এমনটাই মনে করছেন ভোক্তারা। বাজার মনিটরিংয়ের প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার সূত্রে জানা যায়, মোটা জাতের চাল (স্বর্ণা-৫) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪৮-৫০ টাকা, খাটো জিরা ৫২-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৫-৬০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৬০-৬৫ টাকা। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সুগন্ধি চিনিগুঁড়া জাতের চাল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা। খোঁজ নিয় জানা যায়- জেলার হাটগুলোতে মানভেদে প্রতি মণ ধান জিরাশাইল ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৮০ টাকা, ব্রিআর-২৮ ধান ১ হাজার ১৫০ টাকা, সুফলতা ১ হাজার ১০০ টাকা এবং কাটারিভোগ ১ হাজার ১৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকা। গত ১ মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শহরের সুলতানপুর মহল্লার রিকশাচালক মোশারফ বলেন, রিকশা চালিয়ে চার সদস্যের ভরণপোষণ করা হয়। বোরোর এখন ভরা মৌসুম হলেও চালের দাম কমেনি। গরিব মানুষ মোটা চাল স্বর্ণা ৫০ টাকা কেজি কিনে খাই। ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল নাই। বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম বেশি। এতে গরিব মানুষের জন্য বেশি সমস্যা। খুচরা চাল ব্যবসায়ী আক্কাস আলী বলেন- গত এক মাস থেকে সব ধরনের চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। যারা চাল কিনে খেতেন তাদের অধিকাংশের ঘরে ধান আছে। এ কারণে তারা বাজারে আসছে না। তবে একান্ত যাদের প্রয়োজন তারা চাল কিনে খান। বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। এ কারণে বেচাকেনা অনেকটাই কম। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন ধান এবং প্রায় ৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৬০ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত