ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরগঞ্জে চলাচলের রাস্তায় বেড়া, ৫০ পরিবার অবরুদ্ধ

সুন্দরগঞ্জে চলাচলের রাস্তায় বেড়া, ৫০ পরিবার অবরুদ্ধ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে বাঁশের বেড়া ও মাটি খুঁড়ে গর্ত করে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। এতে সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে শান্তিরাম ইউনিয়নের পরাণ গ্রামের ৫০টি পরিবার। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, জমি সংক্রান্ত জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে ৫০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে অবরুদ্ধ ওই পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। ঝিনিয়া বাজার ও শহরে আসার পথের দুটি স্থানে বাঁশের বেড়া ও মাটি খুঁড়ে গর্ত করে রাখা হয়েছে। এই পথ দিয়ে ওই গ্রামের মানুষজন যাতায়াত করেন। এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুলসুম বেওয়া (৬৫) বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ বন্ধ করা পথ দিয়ে ধান বাড়ি আনত। ৫০ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। তখন থেকেই দেখছেন এই পথে ওই এলাকার মানুষজন যাতায়াত করেন। ভুক্তভোগী হাজর আলী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে যাতায়াত করছি এবং আমার বাপ-দাদারা এই পথ দিয়ে যাতায়াত করত। আমার প্রতিবেশীরা হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। একমাত্র এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানান, ৫০টি পরিবারের সদস্যরা গ্রামের দিনমজুর, কৃষক ও কয়েকজন শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। যে ব্যক্তিরা রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তারা হলেন স্থানীয় প্রভাবশালী পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে মুকুল মিয়া, মশিউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে গোলাম আজম ও মৃত মজনু মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া। এলাকাবাসীর দাবি প্রায় ১০০ বছর ধরে ওই রাস্তাটি দিয়ে পরিবারগুলো চলাচল করছে। এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতায়াত করে থাকে। সাত দিন ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে ঝিনিয়া বাজার করতে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত