নওগাঁয় মরিচের ঝাঁজ কমলেও দাম বেড়েছে সবজির

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও দাম বেড়েছে সবজির। পাইকারিতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৫০-২৮০ টাকা হলেও খুচরায় দাম অস্বাভাবিক। স্থানভেদে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সবজি বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জেলা শহরের সবজির পাইকারি বাজার সকাল থেকে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। যেখানে সর্বনিম্ন ৫ কেজি করে কিনতে হয়। তবে কাঁচামরিচ ১ কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। এ বাজারে দাম কিছুটা কম থাকলেও সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। পাইকারি বাজার থেকে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে খুচরা সবজি বাজার। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে খুচরা বাজারে ভোক্তাদের কিনতে হয়।

গতকাল রোববার সকালে নওগাঁ পাইকারি সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, দেশি কাঁচামরিচ ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা শনিবার বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। বগুড়া চাড়ানি বা দিনাজপুরের মরিচ ১৮০ টাকা কেজি। গতকাল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি। আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি আলু ৪৮-৫০ টাকা এবং হলেন্ডার ৩৫-৩৬ টাকা কেজি। বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, লাল বেগুন ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২৫-২৬ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, পটোল ২৪ টাকা এবং শসা ৪০ টাকা কেজি। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে করলা ৮০-৯০ টাকা কেজি। এছাড়া প্রতিপিস লাউ ও ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৬৬ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ১৫০-১৭০ টাকা এবং আদা ২৫০ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে বিক্রি হওয়া সব ধরনের সবজি হাতবদলে খুচরা বাজারে বিক্রি হয় প্রায় এক থেকে দেড় গুণ বেশি দামে। মরিচসহ সবজির দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সবজি বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম। প্রতিকেজি পটোল ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, দেশি শসা ৭০ টাকা ও হাইব্রিড ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢ্যাড়শ ৩০ টাকা, সাদা বেগুন ৮০ টাকা ও লাল বেগুন ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা। প্রতিপিস ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খরা ও অনাবৃষ্টিতে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। গাছে ফুল এলেও ঝরে পড়ছে। গত ১৫ দিন থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন করে আবার গাছ হচ্ছে। মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় দামও বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য শাকসবজিরও একই অবস্থা অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় এখন সবজিক্ষেত সবুজ হয়েছে। তবে উৎপাদন বেশি হলে দাম কমা শুরু করবে। শহরের পার-নওগাঁ মহল্লা তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি দোকানেই কাঁচা মরিচ আছে। অথচ দাম বেশি। এ ছাড়া আমদানিকৃত মরিচ আমাদের জেলা আসছে না। ইতোমধ্যে কিছু সবজির দাম কমেছে এবং বেড়েছে।