অটোরিকশায় অতিষ্ঠ রামগঞ্জ শহরবাসী

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে রামগঞ্জ শহরবাসী। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব অটোরিকশা গ্যারেজ ও কারখানা। অপরদিকে শত শত অটোরিকশার কারণে শহরের পুলিশ বক্স চত্বর, রামগঞ্জ মাছ বাজার ও হসপিটাল সড়ক, সোনাপুর চৌরাস্তা, রামগঞ্জ মৌলভীবাজার ও জিয়া শপিং কমপ্লেক্স গেট সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র পার্কিয়ের কারণে ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করাও দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহীদ হাসান পাবেল জানান, এসব অটোরিকশা চালকের কোনো লাইসেন্স নেই। আর যতদুর জানি এদের উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ বা পৌর কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেয়ারও ক্ষমতা রাখে না। অটোরিকশা চলতে কোনো বাধা না থাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুরাও এখন অটোরিকশা চালাচ্ছে। শহরে সড়কগুলোতে শত শত অটোরিকশা। এসব অটোরিকশা সড়কে সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, একটি মহল অবৈধভাবে রিকশা সমিতি বা অটোরিকশা সমিতির নামে টাকা উত্তোলন করে আসছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রামগঞ্জ উপজেলায় কত অটোরিকশা আছে তা মনে হয় রামগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষও জানে না। এ সময় তারা আরো জানান, একটি মহলকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে অটোরিকশা সড়কে চলতে অনুমতি দেয়া হয়। রামগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক আশরাফুল আলম জানান, আমার জানা নেই কীভাবে অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সড়কে চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, আমরা পায়েচালিত রিকশার ব্যাপারেও কোনো ব্যবস্থা নেইনি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কীভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে বা কীভাবে সড়কে চলছে, তাদের লাইসেন্স দিচ্ছে কে? সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানি না খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ শারমিন ইসলাম জানান, এখানে আমি নতুন এসেছি সব কিছু বুঝে উঠতে সময় লাগবে। তবে শহরে প্রচুর অটোরিকশা। বেশিরভাগই ব্যাটারিচালিত। মেয়রের সঙ্গে কথা বলে শিগগির ব্যবস্থা নেয়া হবে।