চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সরদারকান্দি বাদামতলী বাজার থেকে দক্ষিণ সরদারকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এছাড়া একটি ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক দেবে যাওয়ায় এবং রেলিং না থাকায় বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে স্থানটি। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। রাস্তার বেহাল দশা ও ব্রিজটির এমন দুরবস্থার জন্য চরম বেকায়দায় পড়েছে গ্রামবাসী। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুরকি বেরিয়ে পড়েছে। যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি, চার্জার অটো, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ চলাচল করে। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই পথেই চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন অনেকে। দীর্ঘদিন এ রাস্তাটি পুণর্নির্মাণ না হওয়ায় সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকজন অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানচালক বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য ইটের টুকরো। তার ওপর চাকা উঠলেই মোটরসাইকেল পিছলে যায়। সামনে তাকাবো না নিচে দেখব। এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে পড়ি দুর্ঘটনায়। আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই।
রাস্তার কারণে গাড়ির পেছনে যত খরচ হয় তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াই কঠিন। সরকারের কাছে দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের দাবি আমাদের। এ ব্যাপারে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম বলেন, বাদামতলী থেকে দক্ষিণ সরদারকান্দি পর্যন্ত ২ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি খালের ওপর নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কটি দেবে গেছে বিধায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মতলব উত্তর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনির হোসেন জানান, রাস্তা ও ব্রিজটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ তাই সংস্কার করা প্রয়োজন। রাস্তাটির আইডি নাম্বার গেজেটভুক্ত হয়নি বিধায় রাস্তাটির সংস্কার কাজ করতে পারিনি। পুরো উপজেলায় ১৪১টি রাস্তার নতুন আইডি নম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, আইডি গেজেটভুক্ত হলে কাজ শুরু করব। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের আওতাধীন ২০০২ সালে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।