কালিয়াগঞ্জে সেতু হেলে পড়ায় শঙ্কা

ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসকে দোয়েল, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জের একটি সেতু হেলে পড়েছে। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সেতুটি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, হেলে যাওয়া থেকে যেকোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যেতে পারে। তখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে এলাকাবাসীর। বিষয়টি নজরে পড়লেও কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে ২০১১ সালে। সেতুটি কালিয়াগঞ্জ বাজার থেকে জেলা সদরের তালমা পর্যন্ত সংযোগ রয়েছে। সদর উপজেলার পয়ামারি কান্দর থেকে বর্ষার পানি কালিয়াগঞ্জ ডারা দিয়ে এ সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে করতোয়া নদীতে গিয়ে পড়ে। প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। ভ্যান, রিকশা, অটোবাইক, মোটরবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। এছাড়া করতোয়া নদীর বাউনি, বাগডোগরাসহ বেশ কয়েকটি ঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ বালি নিয়ে এ সেতুর ওপর দিয়েই চলছে ভারি যানবাহন ট্রাক। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। এখন সেতুটি হেলে পড়ায় শঙ্কা নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন, সেতুর পূর্ব পার্শ্বে এক পিলারের নিচে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হেলে পড়েছে এটি। এভাবে সুড়ঙ্গটি বড় হতে থাকলে একপর্যায়ে ভেঙে যেতে পারে সেতুটি। ভেঙে পড়লে বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের যাতায়াতব্যবস্থা। কালিয়াগঞ্জ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম খোকন জানান, এ এলাকার জন্য ব্রিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে হেলে পড়ায় তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজটি জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার।

কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বলেন, দেড় বছর আগে বর্ষার শুরুতে সেতুর একটি খুটির নিচে সুড়ঙ্গ হয়ে যায়। ফলে সেতুটি হেলে পড়ে। কাজের মান ভালো না হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন বর্ষা, অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রী মহোদয়কে অবগত করেছি। পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজ্জামান জানান, বোদা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে এনওসি চেয়েছি। অনেক দিন হয়ে গেলো এখনো পাইনি। তাই ব্রিজের সংস্কার করতে দেরি হলো। এবার উনি এনওসি না দিলেও ব্রিজটি সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে।