ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্থায়ী বাঁধের দাবিতে ভূঞাপুরে সড়ক অবরোধ

স্থায়ী বাঁধের দাবিতে ভূঞাপুরে সড়ক অবরোধ

প্রমত্তা যমুনার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ভাঙনের শিকার কয়েকশ’ পরিবারের সদস্যরা গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর সড়কে মাটিকাটা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধের পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়। ওই কর্মসূচিতে নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল ও কয়েকটি এলাকার ইউপি সদস্যসহ প্রায় চারশ’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়। স্থানীয় ভুক্তভোগী সোনা মণ্ডল ও শফিকুল ইসলাম জানান, গত এক মাস ধরে এই এলাকায় যমুনার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে তাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ এলাকার অসংখ্য পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়ি রক্ষায় তবদির করে জিওব্যাগ ফেলছে। এ নিয়ে তারা কিছু বলতেও পারেন না। তারা এলাকার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ভূঞাপুরের পাটিতাপাড়া, মাটিকাটা, কোনাবাড়ি, পলশিয়া, দোভায়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা যায়। এবারও ব্যাপক হারে নদীর তির ভাঙছে। ফলে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুত সময়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে অচিরেই নদী তিরের ওই গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছিল পাটিতাপাড়া এলাকার ভাঙনকবলিত মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিকভাবে আরও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। যারা বসতভিটা ও ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। প্রকাশ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বেড়ে ভূঞাপুর উপজেলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বসতভিটা, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনে দিশেহারা পড়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত