স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমস বার্লিন (জার্মানি)-২০২৩ এ সাঁতারে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জপদক জয়ী রূপালী খাতুনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) তারেক আল মেহেদীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রূপালী খাতুনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার তাকে উপহার সামগ্রী, ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, নড়াইল ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি জেলা। এখানেই বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও রূপালীর মতো তারকাদের জন্ম। ক্রিকেটের কিংবদন্তী যেমন বিশ্বে বাংলাদেশকে উচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছে তেমনি রূপালী নড়াইলবাসী তথা সমগ্র দেশের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি বয়ে এনেছে। রূপালীর এই অবদান নড়াইল তথা সমগ্র বাংলাদেশ মনে রাখবে। তিনি আরো বলেন, রূপালী সৎ রিকশাচালক বাবার এক যোগ্য সন্তান। রূপালীর এই আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনে তার পরিবার অপরিমেয় শ্রম দিয়েছে, তাদের অবদান অনস্বীকার্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে এবং তাদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ সময় তিনি নড়াইলের শিকদার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, শিকদার মনজুরুর রহমান পান্নুকে রূপালীর মতো প্রতিবন্ধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং উৎসাহ দেন। অনুষ্ঠানে রূপালীর বাবা টুকু মিয়া বলেন, আমার মেয়েটা কথা বলতে পারে না। তবে ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝাতে পারে। ইশারা-ইঙ্গিতে বোঝায় সে মাশরাফির মতো বড় হতে চায়। এমন সংবর্ধনা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা রূপালীর বাবা ও তার পরিবার। তিনি পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম, স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জপদক জয়ী রূপালী খাতুনের পরিবারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক। উল্লেখ্য, জার্মানির বার্লিনে ১৭১টি দেশের অংশগ্রহণে স্পেশাল অলিম্পিক সামার ওয়ার্ল্ড গেমস-২০২৩ এর সাঁতার প্রতিযোগিতায় রূপালীসহ ছয়জন অংশ নেন। গত মাসের ১২ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ সাঁতারে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন করে রূপালী খাতুন।
