ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রামগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক

২০ বছরেও হয়নি সংস্কার

২০ বছরেও হয়নি সংস্কার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়ার ৩টি রাস্তায় দীর্ঘ ২০ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। এতে প্রতি বর্ষা মৌসুমেই ওই এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণকে নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। পিচঢালা পথগুলো একটু বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়, মনেই হয় না রাস্তাগুলো কখনো পাকা করা হয়েছিল। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও ট্রলি ও ড্রামট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যন্ত্র, দানব ট্রলি, ট্রাক, হ্যান্ডট্রলিসহ বিভিন্ন ধরনের বড় যানবাহন চলাচলের কারণেও গ্রাম্য এ রাস্তাগুলোতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে বেশি। স্থানীয়রা জানান, খানাখন্দে ভরা এসব সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই আমাদের চলাচল করতে হয়। ফলে নিত্যদিন দুর্ঘটনাসহ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। নিত্যদিন পিছু ছাড়ছে না ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সরজমিনে দেখা গেছে, করপাড়া ইউনিয়নভুক্ত ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম করপাড়ার গ্রামের পাঁচহাজারী বাড়ি থেকে হাটখোলা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার, ছমার ভিটা থেকে আন্দিরপাড় বাজার হয়ে কন্ট্রাক্টর বাড়ির পোলের গোড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার, আন্দিরপাড়ের দর্জি বাড়ি হতে পাঁচ হাজারি বাড়ি পযর্ন্ত ১ কিলোমিটার এই তিনটি সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারবিহীন এসব সড়ক সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেষ্টা-তদবির করেও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। অটোরিকশা চালক হালিম, মোস্তফা, রহিম ও সিএনজি চালক মুরাদ, হারুনসহ অনেকেই জানান, ভাঙ্গাচুরার সড়কের কারণে আমরা গাড়ি চালাতে পারি না। একবার যাতায়াত করলে নাটবল্টু খুলে যায়। অনেক সময় দুইটি গাড়ি একসঙ্গে পারাপার হতে গিয়ে পুকুর বা সড়কের পাশের ডোবানালাতে পতিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হতে হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত