ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

বৃহত্তর দিনাজপুরের ৩টি জেলায় চলতি খরিপ ২ মৌসুমে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ৩ জেলায় ২৪ হাজার ৪২৮ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরির পর কৃষকরা এখন মাঠে রোপা আমন চাষিরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি খরিপ ২ মৌসুমে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় রোপা আমনের আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৮৩০ হেক্টরে হাইব্রিড, ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৫ হেক্টরে উফশি এবং ২ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন আবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এখন ৩ জেলায় বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা যায়, দিনাজপুর জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টরের মধ্যে ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টরে হাইব্রিড২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫ হেক্টরে উফশি ও ১ হাজার ৬০৫ হেক্টরে স্থানীয় জাতের, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ হেক্টরের মধ্যে ২৫ হাজার ৫১৫ হেক্টরে হাইব্রিড ১ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ হেক্টরে উফশী ও ১০ হেক্টরে স্থানীয় জাত এবং পঞ্চগড় জেলার ১ লাখ ১০ হেক্টর জমির মধ্যে ১৪ হাজার ১৫০ হেক্টরে হাইব্রিড ৮৫ হাজার ৩৮৫ হেক্টরে উফশী ও ৪৭৫ হেক্টরে স্থানীয় জাতের আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। সূত্র জানায় চলতি মৌসুমে ৩ জেলায় রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যে ২৪ হাজার ৪২৮ হেক্টরে বীজলা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় ১২ হাজার ৯৫৮ হেক্টর, ঠাকুরগাঁও ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর এবং পঞ্চগড় জেলায় ৪ হাজার ৮৬৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ জানায়, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩ জেলায় ২৪ হাজার ৪২৮ হেক্টরের মধ্যে ২৩ হাজার ৫২৪ হেক্টর জমির বীজতলায় চারা উত্তোলন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ১৬ লাখ ২৮ হাজার ২৮০ মেঃ টন। তবে গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৩ জেলায় রোপা আমন আবাদ করা হয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৬০৪ মেঃ টন। কিন্তু পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ধান উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ মেঃ টন। ১লাখ ১০ হাজার মেঃ টন আমন ধান বেশি পাওয়া গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, মাঠ পর্যায় কৃষকের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও পরামর্শে কারণে গত মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছিল। তারা আশা করছে চলতি মৌসুমেও আমন ধান উৎপাদনে অতীতের ন্যায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল বয়ে আনবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত