ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানিকগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগী

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন
মানিকগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগী

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা শহরে একাধিক স্থানে মিলেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি। এ অবস্থায় জেলাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোটবড় সব বয়সি মানুষই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা কেউ ঢাকা থেকে আবার কেউ নিজ বাড়ি থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। তারা বলেন, হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট, হাসপাতালের সিবিসি মেশিন অকেজো থাকায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করে বাইরে থেকে রিপোর্ট করাতে হচ্ছে, মশারি ছেঁড়া, সেইসঙ্গে টাঙ্গানোর ব্যবস্থাও নেই। চিকিৎসাধীন মলি আক্তার জানান, আমি বাড়ি থেকে আক্রান্ত হয়েছি। তিন দিন ধরে হাসপাতালে আছি; কিন্তু মশারি টাঙ্গাতে পারছি না। শিবালয় থেকে আসা ডেঙ্গু রোগী রাসেলের স্বজন অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন, ফ্যান নষ্ট। হাসপাতালের মেশিন নষ্ট থাকায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. সাকিনা আনোয়ার বলেন, আমাদের এখানে রোগীদের স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধ আমরা দিয়ে থাকি। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত এখানে ১১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু রোগীদেরকে বিশেষায়িত কক্ষে মশারির নিচে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সের তত্ত্বাবধানে তারা সেবা পাচ্ছেন। পুরুষ রোগীদের জন্য ১৮ এবং নারী রোগীদের জন্য ১৮ শয্যার ডেঙ্গু ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর লক্ষণে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আগে সবাই বলত এডিস মশা দিনে দংশন করে। এটা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত