ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুড়িগ্রামে প্রথমবারের মতো অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ

কুড়িগ্রামে প্রথমবারের মতো অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ

কুড়িগ্রামে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে অ্যাকুরিয়ামের শোভাবর্ধনের বাহারি রঙের মাছ। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহায়তায় আরডিআরএস বাংলাদেশ জেলার রাজারহাট ও সদর উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন মাছ চাষে সাফল্য পাওয়ায় জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। সেই সঙ্গে বেকার তরুণদের জন্য সুযোগ হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। সরজিমিন জেলার সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপ গ্রামের মৎসচাষি খলিলুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার ৪ শতক জমিতে এক শতক করে ৪টি আলাদা পুকুরে চাষ করছেন ১০ রকমের বাহারি রঙের ডিমওয়ালা মা মাছ।

গত ১৪ মে তিনি পুকুরে মা মাছ ছেড়েছিলেন। সব মিলিয়ে এতে তার খরচ হয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। উত্তোলনকৃত পোনা মাছ বিক্রি করতে পারবেন ৪০ হাজার টাকা। ফলে খুশি এই মৎসচাষি। খলিলুর রহমান বলেন, আরডিআরএসের মাধ্যমে খুলনা ও যশোর থেকে আমাকে ৪০০ পিস ডিমওয়ালা মা মাছ সরবরাহ করা হয়। এজন্য আমাকে দুই দিনব্যাপী বাহারি রঙিন মাছ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ৪০০ মা মাছ কিনতে খরচ পরেছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ফেন্সিং নেট দিতে ২ হাজার টাকা। এছাড়া ট্রেনিং, সাইনবোর্ড ও এক বস্তা ফিড কিনতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আমি ১০ ধরনের মা মাছ ছেড়েছি। এখন পর্যন্ত ৬ ধরনের ডিমওয়ালা মা মাছ প্রায় ২ হাজার রেণু ছেড়েছে। বাকিগুলো থেকেও আশা করছি। এতে আমি প্রথম দফায় ৪০ হাজার টাকার পোনা বিক্রি করতে পারব।

আরডিআরএস রাজারহাটের টেকনিক্যাল অফিসার (ফিশারিজ) মোজাম্মেল হক জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় এই প্রথম নতুন কার্যক্রম ও উদ্যোক্তা তৈরিতে বাহারি মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা রাজারহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে বাজারজাতকরণেরও ব্যবস্থা করেছি। দু’জন চাষিকে এখন পর্যন্ত ১২ ধরনের মাছ সরবরাহ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-গাপ্পী, মলি, সরটেইল, প্লাটি, গোল্ড ফিস, কৈ-কার্প, কমেট, গোড়ামি, খলিষা, ব্লাকমোড়, টেট্টাবার্গ ও টাইগার বার্গ। তিন মাস পরপর এই ডিমওয়ালা মা মাছগুলো ডিম দেবে।

ফলে তারা প্রতিনিয়ত মাছগুলো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, ‘কুড়িগ্রামে নতুন প্রযুক্তিতে বাহারি মাছ চাষের প্রচলন শুরু হয়েছে। এতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এই বাহারি মাছ পারিবারিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শোভাবর্ধন করছে। এই মাছ চাষের মাধ্যমে জেলায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত