ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় অস্থির আলুর বাজার

গাইবান্ধায় অস্থির আলুর বাজার

এ বছর অস্থির পণ্য বাজারে গাইবান্ধায় সচরাচল স্থিতিশীল ছিল আলুর দাম। এখন সেই আলু এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে যেন ভোক্তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলু। তবে হঠাৎ করে আলুর মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা গেছে আলুর ঊর্ধ্বগতি দামের চিত্র। অগ্নিমূল্য নিত্যপণ্যের বাজার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আলু। খাবার প্লেটে প্রধান সবজি ওই আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। এই আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হলে যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বছর জেলার কোল্ড স্টোরগুলোতে পর্যাপ্ত আলু থাকার পরও অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে কেউ বলেছেন অন্যান্য পণ্যের দামবৃদ্ধির প্রভাব, আবার কেউ বলেছেন বাড়তি চাহিদার কথা। এছাড়া সিন্ডিকেটের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তাই কৃত্রিম সংকট দেখিও আলুর দাম বাড়ছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যে মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলায় ১০ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। এ থেকে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৯০ মেট্রিক টন। আর বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন। চাহিদাকৃত এসব আলু ছাড়াও জেলার ৫টি কোল্ড স্টোরে আরও মজুত আছে ২৯ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন আলু। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মৌসুম চলাকালে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে।

এখন চাহিদার তুলনায় সেই আলুর বস্তাগুলো হিমাগার থেকে বের না করায় আলুর দাম হু-হু করে বাড়ছে। এতে করে চরম ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা। গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে আলু কিনতে আসা মিজবাহুল ইসলাম বলেন, তরকারির মধ্যে আলুই হচ্ছে প্রধান সবজি। দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে এটি কমবেশি থাকে। খুচরা বিক্রেতা ফুল মিয়া বলেন, কোরবানি ঈদের এক সপ্তাহ আগে আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। এরই মধ্যে ব্যাপারীদের কাছ থেকে বেশি দামে আলু কেনার ফলে কিছুটা লাভ রেখে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ এই আলুর মূল্যবৃদ্ধির কারণে অস্থির হয়ে উঠেছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

পাইকারি বিক্রেতা (ব্যাপারী) সেলিম মিয়া বলেন, গাইবান্ধার ধাপেরহাট ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকার হিমাগার থেকে আলুর বস্তা ক্রয় করা হচ্ছে। কোরবানি ঈদ থেকে আলুর বাড়তি চাহিদার কারণে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গাইবান্ধা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস ছালাম বলেন, শুধু আলুই নয়, কেউ যেন অতিরিক্ত দামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে না পারে, সে বিষয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত