ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিন বছরেও শেষ হয়নি হরিহরে ব্রিজের নির্মাণ কাজ

তিন বছরেও শেষ হয়নি হরিহরে ব্রিজের নির্মাণ কাজ

দীর্ঘ তিন যুগ ধরে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যশোরের কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ঠাকুরবাড়ি চারের মাথা ব্রিজের কাজ শুরু হলেও ৩ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এদিকে, বর্ষাকাল শুরু হলেও ব্রিজের দুইপাশের হরিহর নদীর তলদেশের মাটিও করা হয়নি অপসারণ। ফলে ভারি বর্ষণে নদীর উপচেপড়া পানিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন গেলে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত জ্যোতিন্ময় চক্রবর্ত্তীর ছেলে মাস্টার দীপক কুমার চক্রবর্ত্তী (গোবিন্দ) জানান, কেশবপুর সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ঠাকুরপাড়া ও ব্রহ্মকাটি শেখ পাড়ার ভেতর দিয়ে হরিহর নদীর চারের মাথা হয়ে একটি সড়ক যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে মিশেছে। এ সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। মাঝপথে হরিহর নদীর চারের মাথায় ব্রিজ না থাকায় মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, ব্যাসডাঙ্গা, হাবাসপোলসহ ১০ গ্রামের পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হতো। শিশুসহ মুমূর্ষু রোগীদের ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার ঘুরে কেশবপুরে আসতে হতো। এ দুর্ভোগ লাঘবে ১৯৯৮ সালে পাকা রাস্তাসহ হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে রামচন্দ্রপুর গ্রামের তিনিসহ (মাস্টার দীপক কুমার) এলাকার শতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেক এমপির কাছে করেন। প্রয়াত এএসএইচকে সাদেকের আশু হস্তক্ষেপে ব্রিজটির প্রাক্কলনে ৩০ লাখ ২৯ হাজার ৯২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে কম খরচে ব্রিজটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাস্টার দীপক কুমার চক্রবর্ত্তী আরো বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনাসহ নিজের জমি ব্রিজের অনুকূলে সরকারের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার পর ব্রিজটি বরাদ্দ হয়। কিন্তু ঠিকাদারের অবহেলায় সময়মতো কাজটি শেষ হয়নি। ব্রিজটি নির্মাণকালে নদীর দুই পাশে যে মাটির বাঁধ দেয়া হয়েছিল তাও অপসারণ না করে ঠিকাদার চলে যাওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বর্ষার শুরুতে বাঁধের মাটি অপসারণ না করলে ভারি বর্ষণে নদীর উপচেপড়া পানিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরালে সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। ঠিকাদার আনন্দ ঘোষ বলেন, ২ বছরে কাজ শেষ না হওয়ায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখন ব্রিজের দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলছে। এখনো অনেক কাজ বাকি। কাজ শেষ হওয়ার আগে নদীর তলদেশের মাটি অপসারণ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্যা বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে পত্র দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত