চলাচলের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, নেত্রকোণা

নেত্রকোণার বারহাট্টায় একটি ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের কারণে বিপাকে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিন ও তার পরিবার। উপজেলার কদমদেউলী গ্রামে এ ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিন এই গ্রামের আব্বাছ উদ্দিনের ছেলে। তার অভিযোগ, ‘আমার বসতবাড়ির ঠিক পেছন থেকে আনুমানিক ৫০ ফুট দীর্ঘ হাঁটার একটি রাস্তা সরকারি অপর একটি রাস্তার সঙ্গে মিশেছে। এই রাস্তা দিয়ে পূর্বপুরুষ থেকে বংশ পরম্পরায় আমরা চলাফেরা করে আসছি। গ্রামে সর্বজনিন ঈদগাহ মাঠ আছে। তারপরও কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী আবুল হাসেম, জাহাঙ্গীর আলম জানু ও দুলাল মিয়াসহ কিছু লোক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি মাঠ নির্মাণ করে আমাদের বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া, এই মাঠের উপর দিয়েও আমাদের হাঁটতে নিষেধ করেছে। এতে আমরা কার্যত নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এই প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের বাড়ির পেছনে অতিসম্প্রতি মাটি ভরাট করে একটি মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠের চারপাশ জাল দিয়ে ঘেরাও করা। মাঠের দক্ষিণ পাশে মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের বসতবাড়ি। উত্তর পাশে সরকারি রাস্তা, পশ্চিমে নিচু জমি, পূর্বে আব্দুল মালেক ও আবুল হাসেমের বসতবাড়ি। মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিন ও তার স্বজনদের বাড়ি থেকে বের হতে হলে নতুন করে অন্যের বাড়ির উঠান বা জায়গা ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম জানু ও দুলাল মিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের দাবি করা রাস্তাটি ছিল আমাদের জায়গায়। তিনি নিজেই পাকা ঘর নির্মাণ ও গাছগাছালি রোপণ করে রাস্তাটির মুখ বন্ধ করেছেন। পরবর্তীতে আমরা তার বসতঘরের পেছনের জায়গাটি ওয়াকফ্ এস্টেটের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে এখানে ঊদগাহ মাঠ নির্মাণ করেছি। এই জায়গার পাশে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানও আছে। বিকল্প হিসেবে আনুমানিক ১০০ ফুট পুবে আমাদের জায়গা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ পাশাপাশি পরিবারসমূহের ব্যবহারের রাস্তা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনসহ সবাই অবাধে রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারেন। এ ব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের একটি দরখাস্ত পেয়েছি। সাহতা ইউনিয়ন ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া, সহকারী কমিশনারকেও (ভূমি) পরিদর্শন রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।