কাপাসিয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে খুশি

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আকরাম হোসেন রিপন, কাপাসিয়া (গাজীপুর)

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ও বিদেশে কাঁঠালের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কাপাসিয়া। সবুজ শ্যামল গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের দাম কম হলেও কাঁঠালের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা। এবার চৈত্র মাসে বৃষ্টি হওয়ায় কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। কাঁঠালের মূল্যও পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কাপাসিয়ার কাঁঠাল শুধু বাংলাদেশের চাহিদাই পূরণ করে না বিদেশেও রপ্তানি হয়। এবার কাঁঠালের বিশাল একটি অংশ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে ধারণা দিয়েছে ঢাকা থেকে কাপাসিয়া কাঁঠাল কিনতে আসা পাইকাররা। শুধু কাপাসিয়া বাজারেই তিনটি স্থানে বিক্রি হয় কাঁঠাল। কাপাসিয়ার কাঁঠাল দেখতে খুবই সুন্দর, খেতে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। কাঁঠাল উৎপাদনের অন্যতম স্থান হচ্ছে গাজীপুরের কাপাসিয়া। বাংলাদেশের কাঁঠালের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তার বেশিরভাগ পূরণ করে থাকে কাপাসিয়ার কাঁঠাল। কাঁঠাল চাষে তেমন একটা পরিশ্রম করতে হয় না। উঁচু মাটিতে একবার একটি কাঁঠালের চারা রোপণ করলে ৪-৫ বছর থেকে কমপক্ষে ৭০-৮০ বছর অনায়াসে ফলন পাওয়া যায়। কাঁঠাল একটি পুষ্টিকর ফল। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। কাপাসিয়ার কাঁঠালে কোনো প্রকার ক্যামিকেল মিশানো হয় না বলে ভিটামিন অক্ষুণ্ণ থাকে। কাঁঠালকাঠ আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। কাঁঠাল দিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরি করা হয়। এ এলাকার কৃষানিরা কাঁঠালের মৌসুমে প্রতি বাড়িতেই কাঁঠাল পিঠা তৈরি করে থাকে। কাঁঠালের মৌসুম এলেই কাঁঠালের রসের মতো কৃষকদের মনে হাসি ফুটে ওঠে। কাঁঠালের মৌসুমে কাপাসিয়ার প্রতি ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। এ সময়টির জন্য উপজেলার কৃষক-কৃষানিরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। কাপাসিয়ায় এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে কাঁঠাল বাগান নেই বা কাঁঠাল চাষ হয় না।