শ্যামনগরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফরমফিলাপে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অভিযোগ

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শ্যামনগরের বিভিন্ন কলেজে এইচএসসির ফরমপূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড নির্ধারিত ফিসের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন কলেজের বিরুদ্ধে। গরিব অসহায় পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বিক্রি করে তার সন্তানদের পরীক্ষার ফিস দিতে বাধ্য হচ্ছে। বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষার ফিস ১ হাজার ৬২৫ টাকা কেন্দ্র ফিস ৪৯৫ টাকা অথচ কলেজগুলো নিচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফিস নির্ধারিত রয়েছে- ১ হাজার ৮২৫ টাকা কেন্দ্র ফিস ৮৫৫ টাকা অথচ কলেজগুলো নিচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি গরিব অসহায় অভিভাবকদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার উপর এ পরীক্ষার ফিসের জন্য কলেজের চাপ। অনেক অভিভাবক গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, বিক্রি করে সন্তানের পরীক্ষার ফিস দিতে বাধ্য হচ্ছে। কলেজ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে মুখ খুললে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নং কমিয়ে দেওয়া হবে, সে কারণে ছাত্রছাত্রীরা নীরবে কলেজের চাহিদা মতো টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। গোবিন্দপুর এইচ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আহসান হাবীব সিয়াম জানান, সে মানবিক বিভাগের ছাত্র তার কাছে থেকে ফিস নিয়েছে ৩ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে পরিক্ষর্থী হাসানুজ্জামান জানায়, আমি কমার্সের ছাত্র পরীক্ষার ফিস দিতে গেলে স্যার ৩ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করে আমি ২ হাজার ২০০ টাকা দিতে চাইলে স্যার টাকা ফেলে দেয় এবং পুরো টাকা না দিলে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে জানায়। পরবর্তী সময়ে মায়ের কয়টা হাঁস ছিল তা বিক্রি করে স্যারদের টাকা দিতে বাধ্য হই। ওই কলেজের ছাত্র খলিলুল্ল্যাহ জানায়, আমি ২ হাজার ৫০০ টাকা দিতে গেলে স্যার তা নেয়নি এবং আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেবে না বলে জানালে ছাগল বিক্রি করে পরীক্ষার ফিস বাবদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা দেই। গোবিন্দপুর কলেজের পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানায় যতক্ষণ পর্যন্ত স্যারের দাবির ৩ হাজার ৫০০ টাকা যতক্ষণ না দিয়েছি ততক্ষণ পর্যন্ত টাকা গ্রহণ করেনি। কাশিমাড়ী গ্রামের একজন অভিভাবক জানান, আমার ছেলে কমার্সের ছাত্র আমি ২ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে বারবার কলেজে গিয়েছি; কিন্তু স্যাররা সে টাকা নেয়নি তাদের দাবি ৩ হাজার ৫০০ টাকা অভাবের সংসার তাই ডিম পাড়া মুরগিগুলো বিক্রি করে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। এমন চিত্র ম্যামনগরের সব কলেজগুলাতে। এ ব্যাপারে কথা হয় গোবিন্দপুর এএইচ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গাজী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, ফিস ছাড়া আরো অনেক খরচ রয়েছে, যা ম্যানেজ করতে কিছু টাকা বেশি নিয়েছি।