কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে হাফিজুল ইসলাম (৪৫) নামে সাবেক ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের হাত কর্তনের অভিযোগ উঠেছে পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন গ্রুপের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে যুগিয়া পালপাড়ায় সংঘটিত সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাত কাটার শিকার স্থানীয় বাসিন্দা আসমত প্রামাণিকের ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলামের অভিযোগ, পূর্ব থেকেই কাউন্সিলর শাহিন গ্রুপের সাঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। জানা যায়, সন্ধ্যার পর শাহিনের সহযোগী নিজাম উদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মোটরসাইকেলে বেঁধে যায়। এই ঘটনার জের ধরে নিজাম চিৎকার করে তার লোকজনকে জড়ো করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ সময় স্থানীয় ঝণ্টু কসাই নামের এক ব্যক্তি তার হাতে থাকা মাংস কাটায় ব্যবহৃত ধারালো ডাসা দিয়ে আমার বাম হাতে আঘাত করলে আমার বাম বাহু কনুইয়ের উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় আরো কয়েকজন ব্যক্তি আমার উপর হামলা করে লাঠি, রড ছোরাসহ বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে আমাকে গুরুতর আহত করেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বজায় রেখে মাদক, অবৈধ বালুর ব্যবসা, চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত থাকায় এরইমধ্যে হাফিজুল একাধিকবার র্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হলেও দুয়েকদিন জেল খেটে আবার বেড়িয়ে এসে একই কাজ করতে থাকে। হাফিজুলের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে।
