কুড়িগ্রামে বিকল্প সেতু পানির নিচে

ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাহফুজ খন্দকার, কুড়িগ্রাম

নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সেতু বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় পারাপার হতে হচ্ছে। বিকল্প সেতুটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে এক কিলোমিটার দূরে নীলকমল নদের উপর বাস্তবে থেকেও কোনো কাজে আসছে না মানুষের। ফুলবাড়ি উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ফুলবাড়ি ইউনিয়ন, বড়ভিটা ও ভাঙামোড় ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। গত কয়েক মাস আগে ওই এলাকায় পুরোনো সড়ক বিভাগের সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুর কাজ শুরু করে হাসান টেকনো নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মানুষের চলাচলে ভোগান্তি কমাতে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে তৈরি করা হয় বিকল্প সেতুটি। ওই সময় নিচু জায়গায় সেতু নির্মাণে অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন জনগণের আপত্তির তোয়াক্কা না করে নিচু জায়গাতেই বিকল্প সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। ফলে ওই নিচু সেতু দিয়েই মালামাল পরিবহনে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। বড়ভিটা ইউনিয়নের হাসান আলী বলেন, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন, বড়ভিটা ও ভাঙামোড় ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মানুষকে ফুলবাড়ি উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য এই সেতু পারাপার হতে হয়। নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সেতুটি দায়সারাভাবে করা হয়েছে। তাই বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। বর্তমানে এখানে কলাগাছের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় পণ্য পরিবহনে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। পারাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। এ নিয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। আসলে আচমকা পানি বৃদ্ধির ফলে বিকল্প সেতুটি তলিয়ে গিয়ে মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পানি কিছুটা কমেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই সেতু থেকে পানি নেমে যাবে বলে আশা করছি। পানি নেমে না গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।