ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা

পাঠদান ব্যাহত
নওগাঁয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা

মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রেখে তালাবদ্ধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। গতকাল স্কুলে পাঠদান বন্ধ ও তালাবদ্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসে ফিরে গেছে। তবে শিক্ষকরা অফিসে বসে যে যার মতো গল্প করে সময় পার করছেন। জানা গেছে, সরকারি স্কুলের পাঠদান ও বেসরকারি স্কুলের পাঠদান একই। কিন্তু সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বৈষ্যমের শিকার হতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রোববার ২ ঘণ্টা পাঠদান করার পর শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষকরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গতকাল থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষকরা। জেলার ৪৬৬টি স্কুল পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও বিড়ম্বনায় পড়েছে। দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে আবারো শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চায় শিক্ষার্থীরা। হাঁপানিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রুবেল হোসেন বলেন- শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুঁলিয়েছে শিক্ষকরা। এতে পাঠদান বন্ধ আছে। পাঠদান বন্ধ থাকলে তো আমাদের জন্য সমস্যা। কবে সমস্যা সমাধান হবে আর আমরা ক্লাসে ফিরব বলা যাচ্ছে না। এতে করে আমরা পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়ব। শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়া হোক। আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাই। সহকারী শিক্ষক আব্দুর রব বলেন- সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে অনেক বৈষম্য রয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এই বৈষম্যের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এ বৈষম্য আর মেনে নেওয়া যায় না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরব না। তাই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ চাই। হাঁপানিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল ইসলাম বলেন- গত রোববার ২টা বিষয়ে পাঠদান করে ক্লাসে তালা ঝুলানো হয়। গতকাল সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ। তবে কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না। সাময়িক বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। পরে সেটা পুষিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আসলাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, চলমান জাতীয়করণ আন্দোলনে আমরা শিক্ষক সমিতি একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আমাদের নিজেদের স্বার্থে এই আন্দোলনে সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে কার্যসম্পাদনে জেলার ১১টি উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহণে ভার্চুয়ালি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন দাবি আদায় না হবে আন্দোলন চলমান থাকবে। নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সহকারী পরিদর্শন নাজমুল হোসাইন বলেন, জেলায় ৯২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৪৬৬টি হাইস্কুল। তালাবদ্ধ কর্মসূচি হলেও স্কুলে দুইটি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত