১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা সমিতির কর্মীরা

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামে অফিস পরিচয় দিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে কয়েক ব্যক্তি। ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নাম পরিচয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে এ টাকা হাতিয়ে নেয় অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন ও ঋণ বিতরণের কথা বলে পোড়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সামনে তৈরি করা হয় গেট। অফিসে রাখা হয় কয়েকটি টেবিল। তার উপরে কয়েকটি খালি ফাইল, রেজিস্ট্রার ও ফাইল বক্স। গেল বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা এলাকায় থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, গাড়াডোব পোড়াপাড়া গ্রামের কথিত কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে আস্তানা গাড়ে চার ব্যক্তি। যারা নিজেদের ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেন। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা করার আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় কয়েকদিন। এ ফাঁকে তারা সদর উপজেলার আলমপুর ও শ্যামপুর এবং গাংনী উপজেলার গাড়াডোব ও সাহারবাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে থাকেন। ১ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে সঞ্চয় জমা করতে হবে ১২ হাজার টাকা। এমন শর্তে ওই গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ অজানা-অচেনা মানুষগুলোর হাতে তুলে দেয় টাকা। এলাকার মানুষের মৌখিক হিসাবে এ টাকার পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক বলে জানা গেছে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদে পড়েছেন উল্লেখ করে গাড়ডোব গ্রামের জলিবিল পাড়ার আলমগীর হোসেন বলেন, গত বুধবার আমাদের পাড়ায় এক ব্যক্তি গিয়ে ওই সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। পানসি কবিরাজের বাড়িতে ১০ লাখ টাকা সিকিউরিটি দিয়ে তারা অফিস নিয়েছেন বলে জানায় আমাদের। ঋণ পাওয়ার জন্য আমরা লাখ প্রতি সাড়ে ১১ হাজার করে টাকা দেই। পরিচয় নিশ্চিত আর জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কীভাবে ঘরভাড়া দিলেন জানতে চাইলে পানসি কবিরাজ বলেন, চারজন লোক গত বুধবার আমার বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া নেওয়ার আলোচনা করল।