ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছেন এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। গতকাল সকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি বানিয়াটারী গ্রামে প্রেমিকের শয়ন ঘরে তাকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের অজয় রায় (বিদেশি)-এর অনার্স পড়ুয়া ছেলে বিকাশ চন্দ্রের (২৮) সঙ্গে প্রতিবেশী সুবোধ চন্দ্রের স্ত্রী এক সন্তানের জননী চন্দনা রাণীর সাত বছর ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। প্রেমের এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ চন্দ্র স্বামীর অনুপস্থিতিতে চন্দনার ঘরে যায়। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসে বিকাশ। পরের দিন চন্দনার স্বামী সুবোধ বাড়িতে ফিরে ঘটনা শুনে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং তাকে নিয়ে আর সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর গত শুক্রবার ১৪ জুলাই দুপুরে চন্দনা বিকাশের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে বিকাশ। চন্দনা রাণী জানান, আট বছর আগে সুবোধের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের ছয় মাস পর আমার স্বামীর মামাত ভাই বিকাশ আমাকে ফুসলিয়ে আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে। তখন থেকে প্রায়ই সে আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করত। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার শাশুড়ি ও বাড়ির লোকজন তাকে আমার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। আমার স্বামী বিষয়টি জানার পর আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বিকাশ আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না। এ প্রসঙ্গে প্রেমিক বিকাশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারপর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে বিকাশের মা প্রতিমা রাণী জানান, চন্দনা সম্পর্কে আমার ভাগিনা বউ। সে আমাদের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে আছে। আমার ছেলে বাড়িতে নেই। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে কিনা জানি না। নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাছেন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সে বলেছে, বিকাশ আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমরা ছেলে ও তার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। সমাধান হবে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত