কিশোরগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ ১৫ দিনে ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ডায়রিয়ায় গত ১৫ দিনে ৯ জন মারা গেছেন। স্থানীয় কাউন্সিলররা ডায়রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মৃতরা শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন মানতে নারাজ সিভিল সার্জন। তার মতে, মারা যাওয়া ব্যক্তিরা অন্য রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ১৫ দিনে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ঈদুল আজহার পর থেকে বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত সোমবার ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১১৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। পৌরসভার তথ্য বলছে, ঈদুল আজহার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন পৌরসভার ১, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ। ঈদের পর এ তিন ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন তিন শতাধিক। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। পৌর শহরের নগুয়া এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন মিয়ার মেয়ে রুমানা আক্তার বলেন, ‘গত শনিবার সকালে বাবার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। দুপুরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ভালোভাবে চিকিৎসা পাননি। গত রোববার সকালের দিকে আমার বাবা মারা যান।’ পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জানান, হারুয়া এলাকায় শতাধিক লোকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনি বলেছেন পানির সমস্যা। পানি সমস্যার সমাধান হলে এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।’ কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, এ মুহূর্তে ডায়রিয়ার প্রকোপটা কী কারণে বাড়ছে তা বলতে পারছি না। পানি ও পৌরসভার পরিবেশ পর্যালোচনা করলে হয়তো কারণ বেরিয়ে আসবে। আমরা পৌর এলাকায় সচেতনামূলক কাজ করে যাচ্ছি। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলামের বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ কেন বাড়ছে তা জানতে আমরা কাজ করছি। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুত রয়েছে।