ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কেশবপুরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

যশোরের কেশবপুরের মার্তৃমঙ্গল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ উঠেছে। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও দক্ষ জনশক্তি না নিয়েই চলছে কার্যক্রম। এছাড়া গত ডিসেম্বর মাসে ক্লিনিকের ডাক্তার কানিজ ফাতিমা ক্লিনিক থেকে চলে গেলেও তার নামে এখনো চলছে আলট্রাসোনো রিপোর্ট, যা নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রিপোর্টটিতে দেখা যায় গত ২০ জুন ডাক্তার কানিজ ফাতিমা স্বাক্ষর দিয়েছেন। অথচ তিনি গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব ছেড়ে অন্য ক্লিনিকে চলে গেছেন। ডাক্তার কানিজ ফাতিমা বলেন, ওই ক্লিনিক থেকে আমার সিল স্বাক্ষর দিয়ে যে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, এটা আমার নয়। আমি ডিসেম্বর মাস থেকে ওখানে চিকিৎসা দিই না। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ক্লিনিকটির মালিক জাহিদুল ইসলাম নিজে অপারেশন বাদে সব চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন। অথচ তিনি কোনো ডাক্তার নন, তিনিই এ ক্লিনিকটির মালিক। গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাকে ডাক্তার ভেবে চিকিৎসাপত্র নিচ্ছে। অন্যদিকে সাইনকেবার্ড বা ক্লিনিকটির বিলবোর্ডে যেসব ডাক্তারদের নাম লেখা রয়েছে, তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক্তার ফয়সাল বর্তমানে সেখানে কর্মরত নন। তিনি চলতি মাস থেকে অন্য একটি ক্লিনিকে চলে গেছেন। বর্তমানে এখানে সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার নাই, ডিপ্লোমা নার্স নাই, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নাই। সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক ভাবে এ ক্লিনিকটি চলছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লেখালেখি হওয়ার পর গত শনিবার যশোরের সিভিল সার্জন কেশবপুরের বেশ কয়েকটি ক্লিনিক পরিদর্শন করলেও মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে যান নি, যা নিয়ে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জণ। গত সোমবার সরেজমিন ক্লিনিকটিতে গেলে দেখা যায়, তিনি চেম্বারে বসে আছেন। প্রবেশ করার সাথে সাথে তিনি রোগী সরিয়ে দিয়ে কথা বলতে থাকেন। এরপর ডাক্তার কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না আমি এখানে বসে ম্যানেজমেন্ট চালাই। অথচ তার টেবিলে পেশার মাপা ও স্টেথেসকোপ রয়েছে। ক্লিনিকের মালিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন ডাক্তার সেখানে রোগী দেখেন এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে বসেন। কোনো আবাসিক ডাক্তার আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নেই।

সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থায় চলছে ক্লিনিকটি, যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, না তেমন সমস্যা নেই। ক্লিনিকটিতে ভুয়া আলট্রাসোনো রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম হলে সেটা তদন্ত করা হবে। যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, সময় স্বল্পতায় চলে আসছি। কোনো অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত