ছয় কার্যালয়ের এক কর্তা

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, ঠাকুরগাঁও

সরকারের রাজস্ব আদায়কারী দপ্তরগুলোর মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় অন্যতম। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়টি সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থাকলেও কর্তা আছেন একজন। তিনিই সকাল-বিকাল চালিয়ে নিচ্ছেন ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ। আর এসব কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপিও প্রদান করেছেন ভুক্তভোগীরা। সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা-বেচার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের কার্যালয় আছে ছয়টি। কিন্তু কর্তা আছেন মাত্র একজন। সপ্তাহে রোববার ও সোমবার ঠাকুরগাঁও সদরে। এর মধ্যে সকালে হাফ বেলা ভুল্লীতে, গত মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী কার্যালয়ে, বৃহস্পতিবার পীরগঞ্জে, গতকাল বুধবার সকালে হরিপুরে এবং বিকালে রানীশংকৈলে জমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। শফি আকরামুজ্জামান ১৯৯৫ সালে লালমনিরহাট জেলায় সাব রেজিস্টারের কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রধানসহকারী, ২০১৮ সালে পদোন্নতি পেয়ে সুনামগঞ্জে সাব রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী সাব রেজিস্টারের দায়ত্ব পালন করছেন। কিন্তু জেলার সাব রেজিস্টারের কার্যালয়গুলোতে কোনো কর্মকর্তা না থাকায় তিনি একাই চালিয়ে নিচ্ছেন সব কার্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী যতেন পাল বলেন, আমার ভোটার আইডি নকল করে কে বা কারা আমার জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। পরে দলিল তুলে দেখি সত্যি সত্যিই দলিল হয়েছে। আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আকালু বলেন, ‘আমারও কোনো নাই, কারো কোনো নাই, পরিষদেরও কোনো নাই। যারা কাম করেছে, মনে করে জাল দলিল দিয়ে টাকা নিয়েছে, আমি তো বলতে পারি না। ওই জিনিসটা কি আমি বলতে পারি? ওই দুইজন লোক টাকা পায়নি। ওরা এখন প্লান করে বেড়াছে। আর এটা মোবাইলে বলা ঠিক হবে না।’

সাব রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান বলেন, আমি একজন মানুষ একা কি করব? অভিযোগের বিষয়ে বলেন এমপি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেন স্যার কত টাকা দিয়েছেন। বাইরে গিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে বলেন দরখাস্ত করছেন সেজন্য যাওয়া হয়েছে। আর অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, কে কি বলল সেটাই বিশ্বাস করলেন। ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন বলেন অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জেনে বিস্তারিত বলা যাবে। আর জনবল সংকটের বিষয়ে বলেন সারা দেশে ১০০ জন সাব রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য আছে।