ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক আব্দুর রহমান (২০) এবং তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক রবিউল ইসলামকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রেমিক আব্দুর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ধর্ষক রবিউল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আলিম আল রাজি এবং নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমজি আযম পৃথক দুটি ঘটনায় এ রায় দেন। আসামি আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে এবং রবিউল ইসলাম আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে। এ সময় আসামি আব্দুর রহমান আদালতে উপস্থিত থাকলেও রবিউল ইসলাম পলাতক ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি আব্দুর রহমানের সঙ্গে জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের কন্যা কলারোয়া গার্লস পাইলট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা হোসেন সেজুতির (১৪) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ২৭ মার্চ ২২ তারিখে রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে সেজুতির লাশ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সেজুতির মা লায়লা পারভীন পরদিন ২৮ মার্চ কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করে। আসামি আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। অন্যদিকে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মেয়েকে (১৯) একটি মৎস্য ঘেরের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ২৯ জুন ২০১০ তারিখে ধর্ষিতার বাবা আদালতে একটি মামলা করে। উক্ত মামলায় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ দুটি রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত