প্রশাসনের আশ্বাসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অনশন স্থগিত

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতারা তৃতীয় দিনে অনশন ভাঙলেন। গতকাল সকালে নিজ হাতে ফলের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙালেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসক অনশনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামী দুই মাস সময় নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর আশ্বাস দেন। তবে অনশনে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীরা বলছেন, দুই মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে মনে করি। হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের বিষয় আছে। আমরা অবকাঠামো পেয়েছি। এই অবকাঠামোর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন দেখতে চাই। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, গত ১৮ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে সদর হাসপাতালের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছেন অনশনকারীরা। তাদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু এই কার্যক্রম করার জন্য সরকারের যে বিধিবিধান আছে সেই বিবিধিবিধান অনুযায়ী যখন এই ভবন হস্তান্তর হয়েছে তার জন্য সকল আইনানুগভাবে প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল লাগে। শুধু এই জেলায় না। এই রকম নতুন স্থাপনা দেশে অনেকগুলো নির্মিত হয়েছে। সব জেলাতে একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে কিনা তত্ত্বাবধায়ক বলতে পারবেন। এরপর লাগে বাজেট বরাদ্দ। তবে আপনাদের (অনশনকারীদের) বিষয়টা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি, তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক।