ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

একই ওয়ার্ডে ডায়রিয়া ডেঙ্গু রোগী

একই ওয়ার্ডে ডায়রিয়া ডেঙ্গু রোগী

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর রয়েছে অনেক গুরুত্ব। তবে হাসপাতালটিতে জনবল সংকটের খবর পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক-কর্মচারীর অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার চার ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। অথচ যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে রোগীদের যেতে হয় বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা সদর অথবা পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরে। একটু জটিল ও কঠিন রোগী হলেই অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। অভিযোগ আছে, ওয়ার্ডে দিনে চিকিৎসকের দেখা মেলে একবার আর নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায় না। এছাড়া একই সঙ্গে রাখা হচ্ছে ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ সব ধরনের রোগী। ফলে অস্বস্তিতে থাকেন রোগীরা। অন্যদিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা। এতে আশঙ্কাজনকসহ সামান্য ক্ষত নিয়ে এ হাসপাতালে আসেন অনেকেই। এছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে নানা সমস্যায় চিকিৎসা নিতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু চিকিৎসক ও লোকবলের অভাবে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় অন্য হাসপাতালে যেতে হয় এসব রোগীদের। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ রোগী এবং তার স্বজনরা পড়েন বিপাকে। এ সময় যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা ফরিদপুর বা ঢাকায়। এতে অনেক সময় গন্তব্যস্থানে আগেই ঘটে মৃত্যু। জানা যায়, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ ২৫টি পদের ১০টি শূন্য। জুনিয়র বিশেষজ্ঞের ১০টি পদের ছয়টি পদ শূন্য। এছাড়া হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পদও আছে শূন্য। চিকিৎসক না থাকায় বহির্বিভাগে শিশু বিভাগসহ অন্য বিভাগে রোগী দেখছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তারা। অন্যদিকে নার্সিং সুপারভাইজারসহ ৪৪ জন স্টাফ নার্সের মধ্যে আছেন মাত্র ৩৪ জন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ৫৪ জনের মধ্যে আছেন ৩৪ জন ও চতুর্থ শ্রেণির ২৫ জন কর্মচারীর মধ্যে আছেন মাত্র ১০ জন। বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম বলেন, খাবার পানি সব সময় লাগে। কিন্তু হাসপাতালের টিউবওয়েল একটাও ভালো না।

ফলে রোগী রেখেই অনেক কষ্ট করে হাসপাতালের বাইরে থেকে খাবার পানি আনতে হচ্ছে। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এখানে গড়ে প্রতিদিন আউট ডোর ও ইনডোর মিলে ৪-৫০০ রোগী সেবা নেন। দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া না থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা জনবল সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে না। এ জনবলেই রোগীরা সব সময় সেবা পাচ্ছে। শুধু আশঙ্কাজনক রোগীদের অন্য জায়গায় রেফার করা হয়। এছাড়া ডেঙ্গুসহ সব ধরনের রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত