ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কের বেহাল অবস্থা

দুর্ভোগে পুরো উপজেলার মানুষ

দুর্ভোগে পুরো উপজেলার মানুষ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা সদর থেকে সাজিউড়া বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয় এবং গাড়ি চলাচলের সময় কাদাপানি ছিটকে অনেকেরই জামা-কাপড়ও নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ এ সড়কের বিভিন্ন গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন। এমনকি ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বর্তমানে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে এ সড়ক ব্যবহার করে উপজেলা পরিষদ এলাকায় থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়সহ সরকারি সব দপ্তরগুলোতে সেবা নিতে আসেন উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষ। এলাকার প্রসূতি মা ও জরুরি রোগীদেরও এ সড়ক দিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। দুর্ভোগ সহ্য করেই দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীদের। জানা গেছে, সড়কটির পৌরসভার অংশে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে একাকার হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ছোট বড় যানবাহন থেকে শুরু করে পথচারীদের। ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করে যানবাহনগুলো। অপরদিকে সড়কের পাশে থাকা পৌরসভার ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনায় ভরাট রয়েছে। তাই পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বর্তমানে বৃষ্টি হলেই সড়কটির পৌরসভার অংশে হাঁটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় শিক্ষার্থী নাবিল ভূইয়া বলেন, গর্তে ভরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে খুব ভয় লাগে। চিকিৎসা নিতে আসা সালমা আক্তার নামে এক রোগী বলেন, চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে এ ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়েই যেতে হয়। স্থানীয় চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান বলেন, কেন্দুয়া থেকে আমার ইউনিয়নের সাজিউড়া পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশার জন্য সাধারণ জনগণ খুব কষ্ট করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরেই অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু আমরা তা পাইনি। আশা করি, আগামী অর্থ বছরের শুরুতে এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পেয়ে যাব। বরাদ্দ পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত