ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনী স্টেডিয়াম মার্কেটে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম

ফেনী স্টেডিয়াম মার্কেটে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম

ফেনীর ভাষাসৈনিক সালাম স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও জামানতের কোটি লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেনকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপস)। জানা যায়, ২০২১ সালে স্টেডিয়াম মার্কেটের পুনঃসংস্কার করে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মার্কেটের ৭৩টি দোকানের মধ্যে ৫২টি দোকান বরাদ্দ দেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোকান প্রতি ৫ লাখ টাকা ফেরতযোগ্য জামানত ও ২ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। ফেনী স্টীল ওয়ার্কস, ইলিয়াছ মেটালেক্স, ফেনী প্লাস্টিক ডোরের মালিক শাহ আলমসহ কয়েকজন দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার পছন্দের লোকদের কাছে দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন। নির্ধারিত জামানতের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা নেয়ার কথা থাকলেও নগদে গ্রহণ করেছেন এবং সংস্থার জামানত হিসাবে টাকা জমা করেননি। প্রতিটি দোকান বরাদ্দের সময় উপরমহলের কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। ক্রীড়া সংস্থার কয়েকজন সদস্য বলেন, জামানতের প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও অতিরিক্ত আদায়কৃত ১ কোটি ৪ লাখ টাকার কোনো হদিস নেই। আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান তদন্ত কমিটি করার আশ্বাস দেন। অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার বলেন, উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুধু পুরাতন দোকান মালিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। জামানতের টাকা ক্রীড়া সংস্থার ব্যাংক হিসাবেই আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত