আদা চাষে সফল ফারুক

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা আকন্দ বাবলু, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ)

বস্তায় আদা চাষ করে সফল ম্ক্তুাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা গ্রামের চাষি ফারুক হোসেন। মাটির সঙ্গে ছাই, গোবর, কাঠের গুড়া পরিমাণ মতো মিশিয়ে প্রায় ২ হাজার বস্তা প্রস্তুত করে সেখানে আদার বীজ রোপণ করেন। রোপণের তিন মাসের মাথায় গাছের গোড়ায় গোড়ায় আদা হতে শুরু করেছে। সরেজমিনে জানা যায়, ফারুক হোসেন গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আঙিনায় অল্প পরিমাণে বস্তায় দেশি জাতের আদা চাষ করেন। মৌসুম শেষে তিনি বস্তাগুলো থেকে অনেক আদা সংগ্রহ করেন। এ সফলতা পেয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চলতি বছর বস্তায় আদা চাষ করার জন্য তিনি বারি-২ জাতের সাড়ে তিন মণ আদার বীজ (কাণ্ড) কিনে আনেন। আদা রোপণের জন্য মাটির সঙ্গে ছাই, গোবর, কাঠের গুড়া পরিমাণ মতো মিশিয়ে প্রায় ২ হাজার বস্তা প্রস্তুত করে সেখানে আদার বীজ রোপণ করেন। রোপণের তিন মাসের মাথায় গাছের গোড়ায় গোড়ায় আদা হতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে আদা চাষি ফারুক হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, আমি শখের বসে বাড়ির আঙিনায় গত বছর অল্প পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করেছিলাম। এতে আমি বেশ সফল হই। চলতি বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে পাঁচ শতক জায়গায় দুই হাজার বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ শুরু করি। বস্তায় আদা চাষ করা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। বস্তায় আদা চাষ করায় খরচ অনেক কম এবং এতে রোগবালাই কম হয়। ফলে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার খুবই কম। চলতি মৌসুমে প্রতি বস্তায় কমপক্ষে এক থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া যাবে। সে হিসাবে ২ হাজার বস্তা থেকে দুই টনের অধিক আদা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, আদার বীজ কেনাসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফসল উঠা পর্যন্ত আর তেমন খরচ নেই।