ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মধুখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারির খাদ্যসামগ্রী তৈরি

মধুখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারির খাদ্যসামগ্রী তৈরি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কামারখালী ও আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া এবং রাজধরপুর গ্রামে অবস্থিত বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। যেগুলো খেয়ে শিশু এবং সাধারণ মানুষ ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কামারখালী বাজারে ও আড়পাড়া ইউনিয়নে রাজধরপুর গ্রামে নিয়মনীতি ছাড়া যত্রতত্রভাবে গড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভাই ভাই বেকারি, তামানা, তুষার নামে রয়েছে কয়েকটি বেকারি কারখানা। এছাড়াও অপর একটি বেকারি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর অধিকাংশ বেকারিগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এ বেকারি খাবার। উৎপাদিত খাদ্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বেকারি মালিকরা অবাধে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত খাবারে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর অনুমোদনসহ নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। অনুসন্ধানে জানা যায় কামারখালী বাজারের বিভিন্ন স্থানে এবং আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামে বাড়িতে গড়ে উঠেছে তামান্না বিস্কুট বেকারি কারখানা। কারখানাগুলো নিয়মনীতি না মেনে স্যাঁতসেঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও মিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করছে বেকারি খাবার। অভিযোগ উঠেছে বেকারি খাবার তৈরি করতে ক্ষতিকারক কেমিকেল ও নিম্নমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি পায়ে খাবার তৈরি করছে। নোংরা ও অপরিষ্কার কড়াইগুলোতে আটাময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঢাকনা নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। কয়েকজন বেকারি শ্রমিক জানান, কোনো কোনো কারখানায় দিনের বেলায় তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করেন, আবার অনেকে রাতভর পণ্য উৎপাদন শেষ হয়ে যায়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের ঝামেলা কম বলেই পণ্য উৎপাদন রাতেই শেষ করা হয়। তারা আরো বলেন, মাঝেমধ্যে স্যানিটারি অফিসার এসে ঘুরে চলে যায়। কামারখালী চা বাজারের চা দোকানদারা বলেন, আমরা গরিব মানুষ চা-পান বিক্রি করে সংসার চালাই। উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নেই। ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। ভাই ভাই বিস্কুট বেকারির মালিক আলম বলেন, আমার বেকারির মতো পরিষ্কার-পরিছন্ন ও বিএসটিআই লাইসেন্স উপজেলার অন্য কোনো বেকারির নেই।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বেকারিতে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত