দুমকিতে ডেঙ্গু রোগীদের সেবায় মানবিক ডা. এনামুল

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অনবরত পাশে রয়েছেন মানবিক ডা. জিএম এনামুল হক। এ পর্যন্ত (২২ জুলাই) হাসপাতালে ৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী এডমিট হয়ে সেবা নিয়েছেন। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা রোগী। রুবিনা, ফাতিমা, সালমা, জয়নব বেগম নামের রোগীদের কাছে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে রোগীরা বলেন, স্যার খুব ভালোমতো সময় নিয়ে রোগী দেখেন। তার ব্যবহার ও সেবা নিয়ে আমরা অনেক সন্তুষ্ট। রুহুল আমীন নামের স্টোর ইন চার্জ বলেন, স্যার (ডা. এনামুল) আরএমও’র দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে হাসপাতালের অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (আরএমও) ডাক্তার এনামুল বলেন, ডেঙ্গু সম্পর্কে দেশের মানুষ মোটামুটি জানে। এটা ভাইরাসজনিত রোগ। উচ্চ মাত্রায় জ্বর হয়। ১০৩, ১০৪, ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। এর সঙ্গে সারা শরীর ব্যথা করবে। মাংসতে ব্যথা, কব্জিতে ব্যাথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা করবে। এর সঙ্গে মুখে রুচি নেই, বমি হবে। সাধারণত জ্বরের ৪-৫ দিন পর শরীরে লাল লাল র‌্যাশ উঠে এলার্জির মতো। নাও উঠতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়। তখন শরীরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। সাধারণত রোগীরা বলেন, মল ত্যাগের সময় রক্ত, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত, বমির সঙ্গে রক্ত, এমনকি মেয়েদের অসময়ে ঋতুস্রাব হয়ে যাচ্ছে, আবার সেটা বন্ধ হচ্ছে না, এমন যদি থাকে তখন আমরা ধরে নেই এটা ডেঙ্গুই হয়েছে। তবে সবার সব লক্ষণ নাও থাকতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, কারো র‌্যাশ উঠে, কারো ওঠে না। আবার অনেকের ৪-৫ দিন পরই র‌্যাশ উঠছে। টিপিক্যাল লক্ষণ অনেকের থাকে, অনেকের থাকে না। অনেক সময় জ্বরের ৪-৫ দিন পর রোগীর পেটে, বুকে পানি আসে। পেট ফুলে যায়। সুতরাং বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ হতে পারে। উল্লেখ্য, ডাক্তার এনামুল ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হয়ে অত্র হাসপাতালে যোগদান করেন।