ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁওয়ে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের ছড়াছড়ি

দিশাহারা কৃষক
ঠাকুরগাঁওয়ে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের ছড়াছড়ি

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে মারা যাচ্ছে গরু। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় কয়েকশ’ গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ রোগের চিকিৎসা করেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এ রোগের বিস্তার রোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতা ও পশু পালনকারীদের রোগ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, এ রোগের বিষয়ে কোনো খোঁজখবরই রাখেনি ঠাকুরগাঁও প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই এ উপজেলায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে শত শত গরু এবং আক্রান্ত হওয়ার ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে গবাদি পশুগুলো। আক্রান্ত গরুর মধ্যে ছোটগুলোই বেশি মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে প্রায় ৫ শতাধিকের বেশি গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই খুটিয়াটুলি গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, এ রোগে আক্রান্তের গরুর শরীরে অত্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়ায়। তিনি তার খামারে আক্রান্ত গরুর অনেক চিকিৎসা করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষে গরুটি মারা যায়। একই এলাকার মুনসুর আলী বলেন, তার বাড়ির ছোট একটি বাছুরের লাম্পি রোগ দেখা দিয়েছে। গরুটি বর্তমানে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যে কোনো সময় মারা যেতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামে আরো অনেক গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হলেও পশু হাসপাতালের কাউকে এখানে আসতে দেখিনি। কেউ খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। একই কথা বলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, জিলানীসহ অনেকে।

শহরের শান্তিনগর মহল্লার সুধীর চন্দ্র বলেন আমার এলাকায় একদিনে দুইটি গরু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন এই রোগের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে। তবে মৃতের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। এটি সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে রোগটি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রতিদিনই ভেটেরিনারি হাসপাতালে অসংখ্যা গরু চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত