হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা। উপজেলার পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে হাটবাজারের দোকানে লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপকব্যবস্থা ছাড়াই চলছে এ ব্যবসা। সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনেই প্রতিটি বাজারে চলছে এই ব্যবসা। সরেজমিন দেখা গেছে, ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা দোকানগুলোয় খোলামেলাভাবে সিলিন্ডারের গ্যাস বিক্রি করার চিত্র। তাদের কাছে নেই ফায়ার সার্ভিসের অনুমতিপত্র। তবুও তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ব্যবসায়ীদের বাসা বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত করে রাখা হয়েছে। পৌরসভার সদরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বেশির ভাগ দোকানে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র নেই। চরম ঝুঁকিতে চলাফেরা করতে হচ্ছে ক্রেতা, পথচারী ও জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীদের। উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদি দোকান, মনোহরি, রড-সিমেন্ট ও ইলেকট্রনিক্সসহ প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার মনতলা, ধর্মঘর, নোয়াপাড়া, হরষপুর, চৌহমনি, দক্ষিণ সাহপুর, তেলিয়াপাড়া, ছাতিয়াইন, বাঘাসুরা, আন্দিউড়া, বাজারসহ অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া পৌর শহরে বিভিন্ন মোড়ে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা অহরহ চলছে। এতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বৈধ গ্যাসের ডিলাররা।
ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর চকবাজার আবাসিক এলাকায় বিএম গ্যাস সিলন্ডারের ডিলার মেসার্স এ মালেক স্টোর অ্যান্ড গ্যাস হাউজে গিয়ে দেখা যায়, বাসাবাড়ির ভেতরে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে গ্যাসের সিলিন্ডারগুলো। নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক সুব্যবস্থা। পাশের দোকান বাসাবাড়ি রয়েছে ঝুঁকিতে। মাধবপুর ফায়ার সার্ভস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মাস্টার মনোতোষ মল্লিক জানান, এ ধরনের পণ্য বিক্রি করতে হলে অনুমতিপত্র নিতে হবে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহসান জানান, অবৈধ অনুমোদনহীনদের প্রতি আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
