ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রপ্তানি হচ্ছে নওগাঁর আম

রপ্তানি হচ্ছে নওগাঁর আম

আমের জেলা নওগাঁ। উত্তরের বরেন্দ্র জেলা আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এরই মধ্যে সারা দেশে এ জেলার আমের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি বিদেশের মাটিতে এ জেলার আমের চাহিদা রয়েছে। জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা বরেন্দ্রভূমি। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় কাঁদা। এঁটেল মাটি হওয়ায় আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। এ কারণে ভোক্তার কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জেলার এ তিন উপজেলা আমের জন্য বিখ্যাত হলেও শুধু সাপাহার উপজেলার আম রপ্তানি হচ্ছে গত ২ বছর থেকে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পেলে রপ্তানি করে আরো লাভবান হবেন বলে জানান আম চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- জেলার সাপাহার উপজেলা সাতটি বাগান মালিকের কাছ থেকে ১৪০ দশমিক ২১ মেট্রিক টন (৩ হাজার ৫০৫ দশমিক ২৫ মণ) আম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে। এরই মধ্যে আম্রপালি ১৪০ মেট্রিক টন এবং ইতালিতে ব্যানানা ম্যাংগো দশমিক ২১ মেট্রিক টন। প্রতিমণের দাম ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। যার মূল্যপ্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৫ টাকা। দেশগুলোর মধ্যে- ইতালি-১২ মেট্রিক টন, সুইজারল্যান্ড-৯ মেট্রিক টন, সিঙ্গাপুর-৭ মেট্রিক টন, কাতার-৩৯ মেট্রিক টন, লন্ডন-৬ মেট্রিক টন, কুয়েত-১৬ মেট্রিক টন, দুবাই-১৬ মেট্রিক টন, বাহরাইন-৮ মেট্রিক টন, নেদারল্যান্ড-৪ মেট্রিক টন, পর্তুগাল-৫ মেট্রিক টন।

এ বছর জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতি হেক্টরে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন হিসেবে উৎপাদন প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। ৪৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১৪০ দশমিক ২১ মেট্রিক টন। এ বছর ৯০ লাখ পিস আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। ৪৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ১৩০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়। গত বছর ৭৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছিল।

আমচাষি তোফাজ্জল হোসেন বলেন- আম রপ্তানি করব, এমন কোনো পরিকল্পনা বা চিন্তাধারা ছিল না। রপ্তানিকারকরা খোঁজ নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা প্রতিটি বাগানে আমের কোয়ালিটি অনুযায়ী পছন্দ করে আম পেড়ে প্যাকেটজাত করে। বাজার থেকে মণে ৩০০-৪০০ টাকা দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ৫০০ বিঘার আম বাগানের মালিক উপজেলার চৌধুরীপাড়া সাখাওয়াত হোসেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায় এ বছর ১৪ লাখ ২০ হাজার পিস আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে।

এরই মধ্যে আম্রপালি ১০ লাখ ২০ হাজার পিস, গৌড়মতি ৬০ হাজার পিস, আশ্বিনা ৪০ হাজার পিস এবং বারী-৪ জাতের ৪ লাখ পিস। সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: শাপলা খাতুন বলেন- গত বছর এ উপজেলা থেকে ৭৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর প্রায় ১৪০ মেট্রিক টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় এবং সেটা অর্জিত হয়েছে। তবে আরো আম রপ্তানি হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত