ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি

মাধবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি

বাবুই পাখি গ্রামবাংলার ছোট একটি পাখির নাম। এই পাখি যেমন বুদ্ধিমান তেমনি শিল্পীর মতো অপরূপ তার কারুকাজ। বাবুই পাখি দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতো। তবে আকারে একটু বড়, তারা ঝাঁক বেঁধে তালগাছের চূড়ায় বসবাস করে। এরা খুব পরিশ্রমী পাখি। গ্রামগঞ্জে এই বাবুই পাখি আগের মতো চোখে পড়ে না। বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়ুই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে। বাবুই হাসিয়া কহে সন্দেহ কি তাই, কষ্ট পাই তবু থাকি নিজের বাসায়। পাকা হোক তবু ভাই পরের বাসা, নিজ হাতে গড়া মোড় কাঁচা ঘর খাসা। রজনীকান্ত সেনের কবিতার সেই বাবুই পাখি আজ হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এখন আর আগের মতো বাবুই পাখি দেখা যায় না। একশ্রেণির লোক শিকার করছে বাবুই পাখি অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি করে বেচা কেনাও হচ্ছে এ পাখি। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, জগদীশপুর, শাহজাহানপুর, বহরা, ধর্মঘর, আদাঐর ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে তাল গাছের চূড়ায় এই শৈলী পাখির বাসা চোখে পড়ত। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকত এলাকা। কিন্তু এখন আর তালগাছও নেই তাদের দেখাও মেলে না। বাবুই পাখিরা সাধারণত তালগাছের চূড়ায় বাসা বাঁধে। এই বাবুই পাখির বাসা গ্রামগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। বাবুই পাখি নিয়ে কবি সাহ্যিতিকরা অনেক গল্প ও কবিতা লিখেছেন। তালগাছের পাতার নিচের অংশে বাবুই পাখি বাসা তৈরি করে। বাবুই পাখির বাসা বানানোর নির্মাণ শৈলী, কারিগরি দক্ষতা দেখে আধুনিক যুগের প্রকৌশলীদের ভাবিয়ে তোলে। তাল পাতার ছেঁড়া তন্তু দিয়ে তারা বাসা বাঁধে। পাতা ছিড়ে এনে সূক্ষèভাবে ঠোঁট দিয়ে তা গাঁথুনি করে বাসা তৈরি করে তাই এর নাম শিল্পী বাবুই পাখি। ঝড় বৃষ্টিতেও সেই বাসা ভেঙ্গে পড়ে না। মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক জানান, আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখির দেখা। এখন নতুন প্রজন্মও এগুলো আর দেখতে পায় না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত