বাউফলে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাণিজ্য

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই কারা নিয়োগ পাবেন তাদের নাম শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ৩২ লাখ টাকার বিনিময় এসব পদে চারজনের চাকরি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি তুলেছেন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই চরআলগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সৃষ্টপদে একজন করে অফিস সহায়ক, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক। নিয়মানুযায়ী পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখেন। গত ২৩ জুলাই ছিল আবেদনের শেষ তারিখ। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখায় অনেক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করতে পারেননি। এদিকে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই, নিয়োগ পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের আগে কোন পদে কার চাকরি হবে এমন শুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এলাকাজুড়ে। নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখেন। বিশেষ মাধ্যমে খবর পেয়ে চাকরির আবেদন করি। আবেদন করার পর বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ৩২ লাখ টাকায় চারপদে চারজনের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন প্রধান শিক্ষক। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মো. আল-আমিনের কাছ থেকে ১০ লাখ, অফিস সহায়ক পদে মো. ফায়জুলের কাছ থেকে ৯ লাখ, আয়া পদে মো. আসমা বেগমের কাছ থেকে ৭ লাখ ও নিরাপত্তা কর্মী পদে মো. কামিয়াবের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকায় এসব পদে চাকরি অলিখিতভাবে চূড়ান্ত করেন প্রধান শিক্ষক। একই অভিযোগ করে অফিস সহায়ক পদে আরেক চাকরিপ্রার্থী মো. নিয়াজ খান। এদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রাখায় আফিস সহায়ক পদে আবেদন করতে আগ্রহী থাকার পরে আবেদন করতে পারেননি বলে অভিযোগ মো. মাহফুজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে একাধিকবার তথ্য চাওয়া হলেও তিনি কোনো তথ্য দেননি। যার কারণে আমিসহ অনেক প্রার্থী আবেদন করতে পারেনি। প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিয়ম তার পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তথ্য গোপন রেখেছেন। টাকার বিনিময় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে পুনরায় স্বচ্ছভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির দাবি করছি। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক মাঠ পর্যায় দালাল হিসেবে কাজ করছেন। টাকার বিনিয়ম তিনি প্রার্থী সংগ্রহ করেন।