ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাঁশের খাঁচায় বন্দি অমিত

বাঁশের খাঁচায় বন্দি অমিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানিবাড়ি-চাঁনপুর ঘোনটোলা গ্রামে নিজের ছেলেকে বাঁশের খাঁচায় বন্দি করে রেখেছেন মা-বাবা। বিষয়টি অবাক মনে হলেও ঘটেছে তাই। কারণ, মানসিক ভারসাম্যহীন ২৬ বছরের ছেলের জন্য সপ্তাহে ওষুধের জন্য প্রয়োজন ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু দরিদ্র মা-বাবার পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। ঘোনটোলা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মো. রইসুদ্দিন ও মোসা. পিয়ারা বেগমের ছেলে অমিত হাসান এই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রইসুদ্দিন ও মোসা. পিয়ারা বেগমের চার ছেলের দুইজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। এদের মধ্যে ছোট ছেলে মো. তামিমকে (১৭) বাইরে রাখলেও মেজ ছেলে অমিত হাসানকে (২৩) খাঁচাবন্দি করে রেখেছেন বাবা-মা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রইসুদ্দিন ও মোসা. পিয়ারা বেগম বলেন, জন্মের পর থেকেই এমন তারা দুই ভাই। কিন্তু বড় জন অমিত হাসান বাড়ির বাইরে গেলেই মানুষকে খামচে দেয়, মারধর করে। এজন্য তাকে বাঁশের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। তারা আরো বলেন, নিয়মিত ওষুধ সেবনে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করে না অমিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা সপ্তাহে ২৫০০ টাকা কোথায় পাবো। তাই বাধ্য হয়েই খাঁচাবন্দি করে রাখতে হচ্ছে। তার থাকা, খাওয়া, ঘুম সবই খাঁচার মধ্যে। রইসুদ্দিন বলেন, আমার সংসার চলে গ্রামবাসীর সহায়তায়। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল হক বলেন, রইসুদ্দিনের ছোট ছেলে তামিম ও মেজ ছেলে অমিত হাসান দুইজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে মেজ ছেলে অমিত হাসানকে বাঁশের খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত