ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে পুড়ে গেল শিশুর পুরুষাঙ্গ

সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে পুড়ে গেল শিশুর পুরুষাঙ্গ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে মাহাদী হাসান (৩) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সরোয়ার হোসেন নামের একজন ডিএমএফ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে শিশুটি ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ৩১ মে দুপুরে পৌর শহরের শিশুপার্ক সংলগ্ন রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ও ভুল চিকিৎসায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির দাদা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুই দিন আগে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালে গেলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রবিউল আলম রিয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। জানা গেছে, উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা মিয়া রাজা পাটওয়ারী বাড়ির নজরুল ইসলাম মামুনের ছেলে মাহাদীকে (৩) সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আবদুর রহিমের পরামর্শে ঘটনার দিন (৩১ মে) সকাল বেলা ১১টার দিকে রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুটির পরিবার। এসময় ডিএমএফ ডিগ্রিধারী ডা. সরোয়ার হোসেন সুন্নতে খাতনা করানোর সময় ব্যবহৃত মেশিনের (লেজার মেশিন) অতিরিক্ত তাপে পুড়ে যায় শিশুটির পুরুষাঙ্গ। ঘটনা বুঝতে পেরে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত শিশু মাহাদিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে শিশু মাহাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শিশুটি মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর থেকেই ডা. সরোয়ার রোগীর স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আগামী সপ্তাহে তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডা. সরোয়ার হোসেন অসুস্থতার দোহাই দিয়ে কল কেটে দেয়। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তবে ভুক্তভোগীরা মামলা করতে রাজী হননি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার বলেন, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী ডাক্তারা সুন্নতে খাতনা করতে পারবেন। তবে এ বিষয়টির উপরে অবশ্যই প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ডা. সরোয়ারের প্রশিক্ষণ আছে কিনা আমার জানা নেই। এসময় তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগেও এ হসপিটালের কোনো কাগজপত্র না থাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাইফুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত