ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পানির অভাব

পাট নিয়ে বিপাকে কৃষক

পাট নিয়ে বিপাকে কৃষক

রাজবাড়ীতে এবার পাটের ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে জাগ (পচানো) দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাঠের আশপাশে খাল-বিল না থাকায় পাট কাটার পর অতিরিক্ত টাকা খরচ করে অন্যত্র নিয়ে জাগ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন চাষিরা। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। এ অবস্থায় খাল-বিল পুনরুদ্ধার করা গেলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। অন্যথায় প্রতিবছর তাদের পাট চাষে লোকসান গুনতে হবে। সোনালি আঁশ খ্যাত এই পাট রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলায় কম বেশি আবাদ হয়ে থাকে। দিন দিন খাল-বিল ও পুকুরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। বর্তমানে চাষিরা পাট কেটে জাগ দেওয়া ও ধোয়া শুরু করেছেন। কিন্তু খাল-বিল ও পুকুরের অভাবে কেউ কেউ একই খালে গাদাগাদি করে পচা ও নষ্ট পানির মধ্যেই জাগ দিচ্ছেন। ফলে পাটের রঙ খারাপ হচ্ছে। আবার অনেকেই উপায়ান্তর না পেয়ে পুকুরেই পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে হুমকিতে পড়ছে পুকুরের মাছ। উন্মুক্ত বিলের পানিতে পাট পচাতে পারলে পাটের রঙ ভালো হয়। এদিকে জেলায় এবার এক বিঘা জমিতে পাট আবাদে কৃষকদের সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর বিঘায় এবার ৮ থেকে ১০ মণ ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে সবই প্রায় তোষা জাতের পাট। ফলনও ভালো হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা পাট কেটে পানির অভাবে কেউ ক্ষেতে, আবার কেউ রাস্তার পাশে নিয়ে রেখেছেন। কেউ আবার ভ্যান বা অন্যান্য বাহনে করে দূরে নিয়ে জাগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ছোট খালে গাদাগাদি করে নষ্ট পানিতেই জাগ দিয়েছেন। আগে মাঠের পাশে খাল-বিল ছিল, এখন সেসব না থাকায় তারা সমস্যায় পড়ছেন। দীর্ঘদিন খাল খনন না করা ও চারাপাশে বাঁধ দিয়ে পুকুর করে মাছচাষ করাসহ নানা কারণে খাল-বিল কমে গেছে। যেটুকু আছে তারও মুখ বন্ধ থাকায় পানি হয় না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত