বংশাই নদীর ভাঙন

এলাকাবাসীর নির্ঘুম রাত

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীর তীব্র ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটছে দুই পাড়ের মানুষের। স্থানীয়রা জানায়, নদী ভাঙনে ফতেপুর বাজার সংলগ্ন এলজিইডির রাস্তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ায় মির্জাপুর উপজেলার সঙ্গে বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। ফতেপুর এলাকার ভাঙনে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বংশাই নদীতে তীব্র ভাঙনের মূল কারণ হচ্ছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এর জন্য চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়াকে দায়ী করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বর্ষা এলে ড্রেজার এবং শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করেন। ১৭ কিলোমিটার এলাকায় চলে তাদের এ অবৈধ বাণিজ্য। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। বংশাই নদীর ফতেপুর, থলপাড়া, হিলড়া আদাবাড়ি, পারদিঘী, চাকলেশ্বর, বৈলানপুর, ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল, গাড়াইলসহ ১২ গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়া জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের সঙ্গে কখনো জড়িত নন বলে দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, বংশাই ও লৌহজং নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, নদীভাঙন প্রতিরোধের জন্য জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। বেশি ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।